দুদিন যাবত ফেসবুক জুড়ে হিতাকাঙ্ক্ষীদের সতর্কবার্তা ছড়িয়ে পড়েছে, ঘরের মেঝে ঘামছে ৷ তাই ভূমিকম্প, সুনামি অবশ্যম্ভাবী ৷ আসলে ঘরের মেঝে ঘামার সঙ্গে ভূমিকম্পের কোনো সম্পর্ক নেই ৷ কদিন যাবত অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে বাতাসে আর্দ্রতার বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হচ্ছে ৷ বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকার দরুণ বাতাস ঘরের জলীয় বাতাস শোষণ করতে পারছে না ৷ ফলে বাতাসে মিশ্রিত জলীয় বাষ্প অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা মেঝের সংস্পর্শে এসে জলবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে ৷ ছোটোবেলার বিজ্ঞান ক্লাসের একটা পরীক্ষার কথা মনে পড়ছে প্রসঙ্গত ৷ বিজ্ঞানস্যার একটা কাঁচের গ্লাসে একটা বরফের টুকরো ফেলে দেখাতেন ৷ কিছুক্ষণ পরে গ্লাসের বাইরের দিকের দেওয়ালে জলবিন্দু জমছে ৷ স্যার ব্যাখ্যা করার আগে আমরা ভাবতাম, গ্লাসে ফুটো নেই অথচ কী করে গ্লাসের জল বাইরে বেরিয়ে এল ৷ স্যারের ব্যাখ্যায় জানতে পারি গ্লাসে বরফ রাখায় গ্লাসের দেওয়াল স্বাভাবিক তাপমাত্রার নিচে নেমে যায় ৷ ফলে বাইরের বাতাসের সঙ্গে মিশ্রিত জলীয় বাষ্প গ্লাসের শীতল দেওয়ালের সংস্পর্শে এসে জলবিন্দুতে পরিণত হয় ৷ আকাশ থেকে যে বৃষ্টিপতন হয় তার সৃষ্টতত্ত্বটা এরকমই ৷ আর একটা বিষয় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ভেজা কাপড়ও দেরিতে শুকোবে ৷ সেকারণেই আজ দুদিন ঘরে বারান্দায় ভেজা কাপড়ের ছড়াছড়ি ৷ পিচ্চিগুলোর ন্যাপি পাল্টাতে পাল্টাতে মায়েরা জেরবার ৷
No comments:
Post a Comment