এটা একটা অতি পাকনামি ৷ শব্দের অর্থ এবং উৎস না জেনে অর্বাচীন অর্থ নিয়ে মাতামাতি বা আঁতলেমি করা ৷ 'পুৎ' নামক নরক থেকে যে উদ্ধার করে সেই পুত্র ৷ সেজন্যেই বলা হয় 'পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা' ৷ এখানে কী বলা হয়েছে এই উদ্ধারকারী ছেলেসন্তান না মেয়ে সন্তান ৷ আমি তো মনে করি আদিতে পুত্র বলতে সন্তানকেই বোঝাত ৷ কালক্রমে অর্থসংকোচের ফলে ছেলে অর্থেই বুঝিয়েছে ৷ কন্যা বা কন্যাসমারও যে উদ্ধারের জন্যে শাস্ত্রীয় ক্রিয়া অর্থাৎ তর্পনের উদাহরণস্বরূপ রামায়ণে তো দেখেছি ফল্গুনদীর জল দিয়ে সীতাকে তর্পণ করতে ৷ মিথ আছে সীতার এই ক্রিয়ায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে ফল্গুধারা শুকিয়ে যায়, ব্রাহ্মণের ব্রহ্মতেজ খর্ব হয় ৷ এখানে একটা যুক্তি হল সীতা ব্রাহ্মণকে সীতা ব্রাহ্মণকে অভিশাপ দেওয়ার সুযোগই পেতেননা যদি একাজটি বেআইনি হত ৷ এখন আমরা পুরুষসন্তানকেই তর্পণ করতে করতে দেখি ৷ আর যে দেবীর কাছে বরপ্রার্থনা করা হয়েছে তাঁর সৃষ্টিকথা তো আমরা সবাই জানি ৷ নারীর মর্যাদা দিয়েছেন বলেই তো ব্রহ্মা তাঁর তেজ থেকে দেবীর সৃষ্টি করেছেন ৷ কোনো পরাক্রমশালী দেব তো সৃষ্টি করেননি ৷
'পুত্র' শব্দের দ্বিতীয়ার বহুবচনে হয় 'পুত্রান' ৷ 'বহু সন্তানকে' ৷ সেকালে দলীয় শক্তিবৃদ্ধির জন্যে এবং উৎপাদনভিত্তিক জীবিকায় কর্মীর প্রয়োজনে গোষ্ঠীর } ৷ আর নারী থাকলেই তো সদস্যসংখ্যাও বাড়বে ৷ সেকালের উর্বরতাকৃষ্টির বীজ তো এখানেই নিহিত ৷
Wednesday, October 9, 2019
'পুত্র' অর্থ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment