আসলে সাপলুডো নয়, চরাচরে ঝরছে কালো হলাহল
ঘরেও বাইরে ঝরা পাতার মত উড়ে আসছে বিষ ।
যেখানেই বসতঘড়ি উপরের ছানি উড়ে যায় বারবার
তীব্র রোদ, বৃষ্টির জল, ঝড়ের হাওয়ায় নড়ে বিশ্বাসবোধ ।
বুকে জড়ানো বর্মে জং ধরে । নিমেষে ভেঙে পড়ে যায়
রাতের আঁধারের মতো সময় । ঋতুহীন কাটে বিষন্ন কাল ।
অনাথ বাতাস করুণ দোলায় কাঁপিয়ে দেয়
কোথা যায় নদী একাকী ? শ্মশান বন্ধু নেই তার ।অক
ক্রমশ শরীরে প্রস্থ কমে কমে অদৃশ্য হতে বাকি নেই ।
অচিন মাঝি সন্ধ্যার আঁধারে নৌকা নিয়ে পথ ভুলে যায়
পলকা জলের ভেতর চাঁদ ঢুকে গেলে ঢেউ দুলে ওঠে ।
নোনাজল, পলি আর নুড়িবালি সব ইতিহাস জানে ।
তাদের ছোটো ছোটো বুকে লেখা আছে সব দিনলিপি
এই গ্রামদেশেও বেদনায় আহত কবি লেখেন রক্তকবিতা
সবুজ মাঠের দিকে তাকিয়ে ভাবেন, কখন আদিগন্ত
সোনালি গালিচাতে একাকার হবে সারাদেশ
দুচোখে এক প্রগাঢ় শ্বাস নিয়ে জাগে মায়ার পলক ।
No comments:
Post a Comment