Tuesday, October 7, 2025

প্রবাসে দেবীর বশে : ব্যাঙ্গালোরে বাঙালির দুর্গাপূজা ( ২ )

প্রবাসে দেবীর বশে : ব্যাঙ্গালোরে বাঙালির দুর্পুগাজো ( ২ )

ছেলে এবং বৌমা আজ আমাদের নিয়ে বেরুল ব্যঙ্গালোরে পুজো দেখার জন্যে । আজ দেখলাম দুটো পুজো । আরটিনগর সোসিও কালচারাল এসোসিয়েশন এবং হোয়াইট ফিল্ডের পিবিসিএতে  ( Purba Cultural Association ) । ব্যাঙ্গালোরে এবার ছোটো বড়ো মিলে পুজো হচ্ছে ২৭২ টির মতো । পুজো মন্ডপগুলো অনেক দূরে দূরে । তাই শরীরের উপর চোট না দিয়ে বড়ো শ্রীমান তার গাড়ি নিয়ে যে কয়টা পুজো পারে দেখাবে ।

এখানকার পুজোতে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মতো প্রবল উন্মাদনা না থাকলেও আন্তরিকতা ও একতা আছে । লক্ষ্যণীয় দুএকটি বিষয়ের মধ্যে  আরটিনগরের পুজোতে দেখলাম ঢালাও ভরপেট খাবারের আয়োজন । খাবারে ছিল ফ্রায়েড রাইস, লুচি, ছোলার ডাল, কাশ্মীরী আলুর দম,চাটনি ও মিস্টি । প্রতিমা সুন্দর । থিমও আকর্ষণীয় । মনে রাখার মতো ব্যাপার হল বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রসাদ গ্রহণের আলাদা লাইন, বিশ্রামের বিশেষ ব্যবস্থা নজর কেড়েছে । 

ব্যাঙ্গালোরের পুজো কেবলমাত্র ভক্তি, শ্রদ্ধা, উৎসব আর আনন্দ নয় । বিনোদনের পাশাপাশি বিপননও জমজমাট । বিশাল জায়গা জুড়ে পুজো মন্ডপ । প্রায় প্রতিটি মন্ডপেই রয়েছে । নানারকমের খাবারের দোকান, কাপড়ের বিশাল সম্ভার, ব্যাংক, ইন্সিওরেন্স, হাউজিং নির্মান সংস্থার প্রতিনিধিরা, ঘরগেরস্থালির সামগ্রীর দোকান, শিশুদের খেলনার দোকান, তাদের বিনোদনের দোলনা, টয়ট্রেন, ইত্যাদি মিলিয়ে এককথায় ছোটদের বিনোদনের ব্যবস্থাসহ একটা ছোটোখাটো মেলার মতো এলাহি ব্যবস্থাপনা ।  এসবের প্রতিনিধিরা মেলায় স্টল খুলে ব্যবসা করার জন্যে স্পনশরশিপ নিতে হয় । তার জন্যে পুজো কমিটিকে ভালো টাকা দিতে হয় । এটাই পুজো কমিটির একটা বড়ো আয় । সদস্য চাঁদা ছাড়া এই আয় দিয়েই তাদের পুজোর খরচাপাতি, সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান, জনকল্যাণমূলক কাজকর্মসহ সমস্ত আয়োজন সারা হয়ে যায় । আমাদের অঞ্চলের মতো চাঁদাবাজির দুর্নাম কুড়োতে হয়না । আমাদের অঞ্চলের পুজোতেও এই পদক্ষেপ অনায়াসেই নেওয়া যায় । আইডিয়াটা দারুণ । আজ এটুকুই । সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা‌।

No comments:

Post a Comment