ক ল হ

কলহ

কাল রাত থেকে চন্দ্রাবলি মেঘ পালিয়ে

আঁধারে তমালকুঞজে কালিয়াবিলাস

জেনে গেছে গোপযৌবনা কলহআঁচে

তাই ঘন ঘন বাজ পড়ার গর্জন,

 বিজলির ছোবল মেঘের কলজে বরাবর

জী ব ন জ ল

জীবনজল

মহলে জল নেই কিংবা জলনির্মিত মহলও নয়

তবুও এ নির্জনমহল নীরমহল,জলপ্রাসাদ ৷

মাণিক্যরাজ বুঝেছেন  জলের অবদান

জীবন জাগিয়ে রাখার জলপিরিত আর জলার্ত যাত্রা

তাই অনিদ্র জলের ঢেউ মহলের গায় চাঁটি মেরে গায় জীবনের ভাওয়াইয়া

মৌ সু মি

*** মৌসুমি ***

    

দক্ষিণে যাওয়া বারণ

বালাইর দোহাই পাড়ে সবাই

অথচ দক্ষিণ থেকে তুমি উড়ে এলে

চরাচর শীতল হয়ে যায়

নির্বিষ সাপের মতো মাথা নোয়ায়

খরশান দহনকাল

ও কালো মেয়ে, তুমিই মৌসুমি

মেইলবক্স খুলে দেখতে চাইছি কে আজ বোকা বানাল এদিনেতেমন কোনো হাস্যকর প্রয়াসের কোনো ছাপ নেইকেবল পাতার পর পাতা জুড়ে কান্নার মাতমঅশ্রুসিক্ত ইমোজি সব উঠে আসছে ওস্তাদজির সানাই হয়েআর টাইমলাইনের পাতা জুড়ে ঘন ঘন ট্যাগভয়ংকর উল্লাসে ফেটে পড়া সব হিংসাময় সব বসন্তকথাআমার চারপাশের বাতাস ভারি হয়ে আছেপঞ্চাশ হাজার মুখের করুণ বৃত্ত প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দুলছেএ ভূখন্ড সীমিত হওয়ায় কেউই অপরিচিত নয়,সবারই হাল হকিকৎ জানা ৷ উনিশ বিশ সবাই সমান বিত্তবান ৷আমার জনপদে এখন মন্বন্তরের নীরবতা নেমেছেআশাহত কুপিবাতি হাওয়ায় কাঁপছে, কখন বুঝি নিভে যায় ৷এই অন্ধকারেই দেখি একদল মর্ষমান শরীর ডঙ্কা বাজিয়ে মশালনাচে নেমেছে ৷ কী তীব্র তাদের হল্লাবোল! ক্রমশ পাথর হয়ে খসে পড়ে যাচ্ছে অজস্র কান্নামুখ আর উল্লসিত হিংস্র অবয়বগুলো শ্বাপদ হয়ে বেরিয়ে পড়ছে ৷প্রতিবেশী বলে আর কেউ নেই মানুষের শরীর নিয়েলক্ষ্মণরেখার দুইপাশে অসহিষ্ণু খাদক এবং অসহায় খাদ্যআজ বসন্তপুষ্পের দিনে এভাবেই সাজানো আমার প্রোফাইল ৷

শি কা র

পাখির ঠোঁটে যে খড়কুটো থাকে
তাতে অনেকগুলো আবাসনের মালমশলা
পাখির ঠোঁটে যে শস্যবীজ বন্দী থাকে
তারসঙ্গে অনেক অনেক প্রাণের মহিমা বসত করে ৷

সমস্ত পাখিদের সংসারে কিছু মানব লুকিয়ে থাকে
সে মানব সহিংস হতে জানেনা ৷
ব্যথা ও বেদনায় কেবল অনশনে উপশম খোঁজে৷

শিকারীর তুণীরে তবুও কোনো সৎ পুঁথি রাখেনা ৷

হোলি গান

বেনামী কুটিরের গায়ে আলপনা এঁকে রেখে
বর্ষবিদায়ের পথে আবিরের চালচিত্র--

কতোটা ভালোবাসা রেখে গেলে শান্তি নামে ৷
সকাল সন্ধ্যার আঁটিবাঁধা খুচরো সংসারের তালিকায়,
তালুতে দাদনের স্বরলিপি সুরের জন্যে উসখুস ৷
নেতিয়ে পড়ে মেজাজি মালিকের জবাকুসুম চোখের সামনে,
যার গায়ের জামায় বিগত হোলির আদিম গন্ধ ৷

হোলি তবু আসে ৷ আসে প্রতি সন ৷
তার ঝোলায় থাকে প্রাচীন মেইজাইয়ের উপহার,
বিলোবার পরিবেশ পায় না ৷
অথবা খুঁজে পায় না কোনো পবিত্র সূতিকাঘর ৷

বৃষ্টিকথা

পানছড়ির পাহাড়ের গায় ভ্রাম্যমান মেঘের বিরতি
ছবির মতো স্থায়ী ও প্রামান্য আসঙ্গকথা
চিরকালীন প্রণয়কল্প বুনে চলেছে বিরামবিহীন
মাহ ভাদরেও ঝরে কান্নার অশ্রু বিরহকানাৎ বেয়ে

কোন মেয়ে কৌমাৰ্য হারালো শেষ বাদলের আঁধারে
কার শুধু নগ্ন লাশ  পড়ে আছে স্বঘোষিত দেবভোগের
উচ্ছিষ্ট ভান্ডের মতো ৷ ভাদুরে বর্ষার জল ধুয়ে যায় শব

কাদের কান্নায় এ যাবত কেঁদে উঠেছে বনমানবের বুক
কোন প্রমাণপত্র বাতাসেও ওড়ে নি তো কোনদিন
ভালোবাসা তবুও লোমশ বুক বালিশপ্রতিম আস্থাঘর
সমস্ত সমরাস্ত্র নতজানু হয়ে মানবের পায়ে নুয়ে পড়ে

রক্তপিপাসু রণ নয় ৷ হৃৎপিন্ড তাক করা আয়ুধও না
ধারালো ফলা ভেঙে জীবনজল হয়ে ঝরুক জনপদে

বৃষ্টিকথা

পানছড়ির পাহাড়ের গায় ভ্রাম্যমান মেঘের বিরতি
ছবির মতো স্থায়ী ও প্রামান্য আসঙ্গকথা
চিরকালীন প্রণয়কল্প বুনে চলেছে বিরামবিহীন
মাহ ভাদরেও ঝরে কান্নার অশ্রু বিরহকানাৎ বেয়ে

কোন মেয়ে কৌমাৰ্য হারালো শেষ বাদলের আঁধারে
কার শুধু নগ্ন লাশ  পড়ে আছে স্বঘোষিত দেবভোগের
উচ্ছিষ্ট ভান্ডের মতো ৷ ভাদুরে বর্ষার জল ধুয়ে যায় শব

কাদের কান্নায় এ যাবত কেঁদে উঠেছে বনমানবের বুক
কোন প্রমাণপত্র বাতাসেও ওড়ে নি তো কোনদিন
ভালোবাসা তবুও লোমশ বুক বালিশপ্রতিম আস্থাঘর
সমস্ত সমরাস্ত্র নতজানু হয়ে মানবের পায়ে নুয়ে পড়ে

রক্তপিপাসু রণ নয় ৷ হৃৎপিন্ড তাক করা আয়ুধও না
ধারালো ফলা ভেঙে জীবনজল হয়ে ঝরুক জনপদে