মনে পড়ে গেল ছোটোবেলার দাড়িয়াবান্ধা খেলার কথা ৷ দাড়িয়াবান্ধা খেলার জন্যে মাঠে একটা বড়ো বর্গাকার ঘরকে আরো কতগুলো ছোটো বর্গাকার কোঠায় ভাগ করে সেগুলোতে আড়াআড়ি একজন খেলোয়াড় দাঁড়িয়ে পড়ে ৷ প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা ওদের ডিঙিয়ে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷ কোঠার মালিকরা দুপাশে হাত ছড়িয়ে দিয়ে ওদের বাধা দিতে চেষ্টা করে ৷ প্রতিপক্ষকে ছুঁয়ে দিতে পারলে সে 'মর' ৷ ফাঁক গলে ছিটকে বেরিয়ে যেতে পারলে সে জিতে যায় ৷ এই ব্যাপারটাও অনেকটা এরকমই ৷ আকাশে সূর্যের সামনে বড়ো সড়ো মেঘ এসে পড়লে সূর্যের আলো বাধা পাওয়ার ফলে সামনের দিকটা অন্ধকার লাগে ৷ আর সূর্যের চারপাশের কিরণের কতক মেঘের চারপাশ দিয়ে ক্ষীণ আকারে বেরিয়ে আসতে চায় ৷ সূর্যের বৃত্তাকার বিকীরণের জন্যেই মেঘের চারদিকে আংটির মতো আলোর রশ্মি দেখা যায় ৷ অনেকটা বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের মতোই ৷ আর মেঘ যখন সরে যেতে শুরু করবে তখন কয়েক মুহূর্তের জন্যে একদিকে আলোর দ্যুতি হিরের আংটির মতোই ঝলসে উঠবে এও এক বিরল দৃশ্য ৷ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় এই অবস্থাকে বলা হয় 'হীরকঙ্গুরীয়' বা 'ডায়মন্ড রিং' ৷ এখানে মেঘস্তরটির মাঝখানেও ফাঁক থাকায় সেখান দিয়েও সূর্যের আলো বেরুচ্ছে ৷ আশঙ্কার বিষয় হলো এ মেঘ সাধারণ মেঘ না হয়ে বায়ুদূষণের ফলে সৃষ্ট কালো ধোঁয়ার গভীর স্তর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷ ফলে এ মেঘ সরতে সময় নেয় ৷
No comments:
Post a Comment