Sunday, December 22, 2019

আনন্দবিজয়া

কে বলে মা চলে যায় চিরভাসানে
নিরাকারে আছে সে তো হৃদয়াাা


শান্তির বার্তাবহনের মধ্যেও এতো সব হন্তারক হাত বিস্তৃত যে শরতের সাদা-নীল সাজের
আনন্দধারার উজানে বাঁধ দিতে হলো
ময়ালের দেয়ালে লুকানো সি সি ক্যামেরায় ধরবে অশুভ মুখ ৷ এ সময় কী অসুরের  কাল?
মনে হয় আনন্দও ক্রমশ চলে যাচ্ছে বিশ্ববাজারে
সেখান থেকে ওজন দরে বিকোবে আগামী দিন
তার জন্যে মৌ চুক্তি চাই ৷

আমরা কী আনন্দহারা হয়ে যাচ্ছি দিন দিন

টাকার পতনের মতো জীবনের ডালপালাও

কী ভেঙে পড়ছে চাতালে পাতালে ৷ দূর থেকে 

আলোর রশ্মি ভেসে আসে বলে আমরা এখনও

বোধনের আলোয় স্নান করি ৷ জেগে থাকি শুধু সন্ততির মুখ দেখে ৷ প্রজন্মও এগিয়ে যায় সব চিরকথার তোরঙ্গ নিয়ে ৷ 


বিসর্জনের প্রত্নঢাক বিজয়ার বার্তা নিয়ে যায় জনমহলে ৷  আমরা বিজয়ের জন্যে বেঁচে থাকি ৷

বাস্তুহারা

গুঞ্জন



নির্জনে নাড়ো ডানা—

চোখ রাখো অস্থির শিবিরে ৷

কোমল কাতর রাত জেগে আছে 

কুসুমরঙিন পুব আকাশের দিকে চেয়ে


এইসময়

গুঞ্জন বাঁচিয়ে

দেয়ালটা শক্ত করো ৷

সময়ের দুর্দশায় পর্যটক তুমি

দূরত্বে থেকে সমুদ্রে হাওয়া খেতে থাক ৷


জেনে রাখো, এই সব ভন্ডামি

সকলেই ধরে ফেলে নকল হানিমুন, মুখোশশোভন পরিব্রাজনে চিরদিন

গা বাঁচিয়ে রাখা যায়না তঞ্চকতা ৷


ভেবেছ নদীর ঢেউ ধীরে বয়

বেঁধে ফেলেছ তার তীব্র বিক্ষোভ ৷

তোমার প্রচারপুষ্পকরথের চাকা

যতো এগোয় মনে করো তুমি

গুঞ্জনে তোমারই গুণগান গায় ৷


নদীও জানে আত্মগোপনের কৌশল

নদীও সমানতালে ঢেউয়ের সংগঠন

একদিন উপছে পড়বে তুমুল আওয়াজ

দুই তীরে উত্তাল ঢেউয়ের তীব্র আঘাত ৷


Friday, December 6, 2019

এভাবেই মুছে যাই

এভাবেই মুছে যাই, মুছে যেতে হয়
যারা ভালোবাসে আর কাছে টেনে নেয়
তাদেরই কেউ কেউ মুছে ফেলে আমাকে
আর অন্য যারা ভাসমান দোনামনায় আছে
তারাও অবসরবিনোদনের কালে পাঁজিপুথি দেখে
খুঁজছে মাহেন্দ্র কিংবা অমৃতযোগ
কখন ছেঁটে ফেলা যায় আমাকে
এইসব মোছামুছি আর ঘষাঘষির ফলে
আমার শরীরে এখন চুম্বনচিহ্নের মতো
শুধু ফ্যাকাশে ইরেজারের ঘষটানো দাগ