Showing posts with label ভাবনা. Show all posts
Showing posts with label ভাবনা. Show all posts

Sunday, April 23, 2023

আ ড্ডা ম ন্ত্র

আড্ডা শব্দকর্মীদের অক্সিজেন । আড্ডা চলুক আরো আরো । আমি সংসারের ঝক্কি ঝামেলায় হাঁপিয়ে উঠলে ইতিউতি ও আগরতলার পরিযায়ী ঠেকে নিজেকে ঝালাই করে আসি । তারপর কলম নিয়ে বসলে দু চারটে হাবিজাবি লেখা বেরিয়ে যায় । আর আমি আত্মসন্তুষ্টির ঢেঁকুর তুলি ।

Tuesday, June 14, 2022

ভাবনা

সময়ের সঙ্গে সবকিছুরই তো আপডেট হয় । কুশপুতুল দহনের পর কুশপুতুল পদাঘাত । ভাবনার উন্নয়ন ঐতিহাসিক ঘটনা । গিনেস বুকে তোলার মতো । এরপরে হয়তো আসবে কুশপুতুলে মলত‍্যাগ । কার ভাগ‍্যে আছে জানিনা । বোধহয় সেটাও অচিরেই দেখা যাবে । দহন, পদাঘাতকে মান‍্যতা দিলে এই সংযোজনকেও মানতেই হবে ।

Wednesday, July 28, 2021

জ্বালানি বনাম জ্বলুনি

জ্বালানি বনাম জ্বলুনি

অশোকানন্দ রায়বর্ধন

নোয়াখালির একটা প্রবাদ আছে  :
ক্ষুধা থাইকলে হুদা অ রচে
ভেঙ্গুলে কামড়াইলে বুইড়গা অ নাচে ৷
এর অর্থ, খিদের পেটে সব্জিহীন অন্নেও অরুচি হয় না ৷ আর ভিমরুলের কামড় খেলে বুড়োকেও নৃত্য করতে হয় ৷ আমারও সেই অবস্থা ৷গতকাল দুপুরবেলা আগরতলার বটতলা থেকে নাগেরজলা স্ট্যান্ডে আসছি হেঁটে ৷ জ্বালানির অভাবে সাব্রুমের দিকে গাড়ি কম আসছে আগরতলা থেকে ৷ পড়িমরি করে ছুটছি বাঁদিকের ফুটপাথ ধরে ৷ ওখানে ফলের দোকানের সারি ৷ তারই একটা দোকান মালিকের গামছার তাড়া খেয়ে উড়ে এসে আমার বাঁ হাতের কব্জির নীচের ফুলো অংশটাতে রাগ ঝাড়ল ৷ সঙ্গে সঙ্গে যেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলাম যেন ৷ বুঝে ওঠার আগেই কালাচাঁদ উড্ডীন হলেন আর এক ফল দোকানের দিকে ৷ ততক্ষণে কালার বিষে আমার অঙ্গ জরজর ৷ দেখলাম কোবরেজ বদ্দির অভাব নেই এই ভিড়ে ঠাসা শহরে ৷শুধু ট্রাফিক ছিল না এই ফুটপাথ দখলকারীদের তুলে দিতে ৷ একজন বললেন মধু লাগান ৷ একজন বললেন,  একটা খেজুর লইয়া ডইল্লা দেন ৷ কালহা আমারে ঘাঁই দিছ্ল আমি খেজুর ডইল্লা দিছি অহনে ব্যথা নাই ৷ যে দোকানের সামনে এই ঘটনা সে ভাবলো, তার মাগ্ না একটা খেজুর গচ্চা যাবে ৷ সে মুহূর্তে হা রে রে রে করে উঠল, না না খেজুরে কুছতা অইত' না ৷ ওই পানের দোহানডাত্তে উট্টু চুন লইয়া লাগাইয়া দ্যান ৷ এই কথাগুলোর ফাঁকেই আরএকজন বদ্দি মোক্ষম ঔষধ খুঁজছে এদিক ওদিক তাকিয়ে ৷আরে রাহ' রাহ' উট্টু গুবর লাগাইয়া দিলে ব্যথা- ফুলা একদম কইম্মা যাইবো গ ৷ সে খুঁজছিল শহুরে বেওয়ারিশ ষাঁড়েদের গোবর ৷বলাবাহুল্য সে উপচিকীর্ষুও ব্যর্থ হয় ৷ অগত্যা আমি পান দোকানদারের থেকে একটু চুন নিয়ে লাগিয়ে কিছুটা স্বস্তি ৷ ক্ষতস্থানের রক্তের উপর চুনের পোঁচ লাগিয়ে ভাবছি, লালকে কেন ভয় রে ওভাই বলে গান গাইলেও সাদাও মোটেই ফেলনা নয় ৷ পশ্চিমবঙ্গীয় বন্ধুরা এটা ঠিক বুঝেছেন ৷  আসল কথায় আসছি ৷ দুদিন নিঃসঙ্গ ঘরে বসে অনুভব করছি প্রবাদের মাহাত্ম্য ৷ ঔষধপত্র, ইনজেকশান কিছুকেই তোয়াক্কা না করে এই বরষায় হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে ........, না থাক,  বুড়ো বয়সে আর কথা বাড়াচ্ছি না ৷ দয়া করে পাঠকবর্গ মন্তব্য করলে নাচ থামিয়ে একটু বিরতি নিতে পারব ৷

Friday, July 23, 2021

পুরানো দিনের কথা

ফেনির ইলিশ ৷ ফেনি নদীর গলদা চিংড়ি ৷ 

বলবেন স্বপ্নের কথা ৷ ফেনি নদীতে একসময় ইলিশ এবং গলদা চিংড়ি অবাধে পাওয়া যেত ৷ ফেনি নদীর পাড়ে বসবাস করেন এমন আপনার প্রতিবেশী যে কোন বয়স্ক জনকে জিজ্ঞাসা করলেই সন্দেহমুক্ত হবেন ৷ অন্তত চুরাশি পঁচাশি সাল পর্যন্ত ফেনি নদীতে প্রচুর পরিমানে ইলিশ মাছ এবং গলদা চিংড়ি ( কাঁডা ইচা)  পাওয়া যেত ৷ আমাদের এপারের তরুণ যুবকদের মধ্যে বলেন্দ্র চক্রবর্তী,কানাইলাল নাথ, হীরালাল নাথ, মানিক বসাক, কালাচাঁদ দে, কানাইলাল মজুমদার, মিলন মজুমদার, মিলন মালি, বিভীষণ বড়ুয়া ছোটোখিলের মনোরঞ্জন ভৌমিক, ছানালাল ভৌমিক, জাপান দে,মানিক মালাকার, দুলাল মালাকার, দীপেন আচার্জী, দ্বীপের পাশের পাড়া মজুমদারদের সব তরুণরা,কান্তি ভৌমিক এছাডা় আরো অনেকে রয়েছেন যাঁদের ফেনি নদীতে কাঁডা ইচা এবং ইলিশ ধরার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ৷ ছোটোখিলের কালিপদ ভৌমিক তো ফেনি নদীর চরে বালির উপর দৌড়ে দৌড়ে একসময় জাতীয় স্তরে শ্রেষ্ঠ দৌড়বিদের পুরস্কারও নিয়ে আসে ৷ নদীতে যখন ইলিশ মাছ উজায় তখন জলের মধ্যে একটা রেখা তৈরি হয় ৷ সেই রেখা ধরে তীব্র গতিতে এগিয়ে আসা ইলিশ লক্ষ্য করে বালির উপর দৌড়ানো যে কী কষ্ট তাই কালিপদর দৌড় প্র্যাকটিসের সহায়ক হয়েছিল ৷ আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এই কথাগুলো বলছি ৷ আমি জাল দিয়ে মাছ ধরতে পারতামনা ৷ ইলিশ মাছ ধরা হত ছটকি, আধাছটকি জাল দিয়ে ৷ আমি ছিলাম ডুলা ধরন্যা ৷ জাল আলগানো আর ছুঁড়ে মারা আমার অসাধ্য ছিল ৷ তাদের জালে বড়ো বড়ো ঠ্যাংওয়ালা কাঁডা ইচা উঠে আসত ৷ বাজারেও তখন প্রচুর ইলিশ ও গলদাচিংড়ি পাওয়া যেত ৷ আটের দশকে আমার শ্বশুরবাড়িতে অনেকদিনই এখান থেকে ইলিশ মাছ আর গলদাচিংড়ি পাঠিয়েছি ৷ বাইরে থেকে যাঁরা এসে সাব্রুমে চাকরি করে গেছেন তাঁরা আজো স্মৃতিচারণ করেন ৷ একসময় প্রায় প্রতিদিন বাড়িতে ইলিশ মাছ রান্না ও খাওয়ার ফলে থালাবাসনেও ইলিশের গন্ধ লেগে থাকত কদিন ধরে ৷এমনটা যদি সাব্রুমে হয়ে থাকে তাহলে ফেনি নদীর অপর পাড়েও এই প্রাচুর্য ছিল অবশ্যই ৷ মাছ ধরার সুবাদে দুপারের যুবকরা তখন পাড়ে আড্ডাও জমাত ৷ আমাদের ছেলেরা বাংলাদেশের পেপার বাইন্ডেড রমনা বিড়ি এবং স্টার সিগারেট খুব পছন্দ করত ৷ তেমনি ওপারের যুবকদের পছন্দ ছিল পাতা বাঁধানো বিড়ি ৷ সেসব আজ ইতিহাস ৷ একসময় ফেনি নদীর উজানে আমলিঘাটের মেরুকুম পর্যন্ত জোয়ার আসত ৷ জোয়ারকে স্থানীয় লোকজন বলতেন 'সর' ৷ জোয়ারের জলে ভেসে আসত এইসব মাছের সাথে চিড়িং, বাইলা, বাটা, পাবদা, কালিবাউস, আইড় ইত্যাদি মাছ ৷ বর্ষাকালে প্রচুর বোয়াল মাছও পাওয়া যেত ৷ লৌহশলাকানির্মিত কোঁচ, ট্যাঁডা দিয়ে বোয়াল ধরা হত ৷ ছোটোখিলের জগদীশ ভৌমিক, যতীশ ভৌমিক  ও ক্ষিতীশ ভৌমিক এরা তিনভাই এবং সুরেশ দাশ, ননী মজুমদার ট্যাঁডা চালনায় পারদর্শী ছিলেন ৷ মনুঘাটের কাছে কল্যাণনগরের শেষ প্রান্তে সাব্রুম মহকুমার আর একটি নদী মিলিত হয়েছে তার নাম মনু ৷ এই নামে ত্রিপুরায় আরো কয়েকটি নদী ও স্থান আছে ৷ সে অন্য কথা ৷ ফেনি বেয়ে মনু নদীতেও উঠে আসত ইলিশ ও গলদা চিংড়ি ৷ স্মৃতিকে নাড়া দিয়ে গেল খুব ৷

Tuesday, October 24, 2017

মহরম

ছোটবেলায় একটা গান শুনতে পেতাম এইদিনে ৷ আমার মা অত্যন্ত বেদনাঘন সুরে গাইতেন গানটি ৷আজশুধু দু একটা কলি মনে আছে ৷ আজ মাকেও মনে পড়ছে খুব,  দুর্গা ভাসানের পর ৷ আর গানটিও সেইসঙ্গে ৷ দুর্গার বিসর্জনের সঙ্গে এই গানের কোন সম্পর্ক নেই ৷ তবুও কোথায় যেন একটা অন্তঃসলিলা ব্যথাতুর সামঞ্জস্য রয়েছে ৷স্মৃতি থেকে গানটির যতটুকু জানি তুলে ধরছি৷ভুল হলে মাপ করবেন :-
মহরমে দশ তারিখে কী ঘটাইলে রাব্বানা / অঙ্গ যায় মোর জ্বলিয়া রে কইতে তারই ঘটনা৷/ মাঅ রাড়ি, ঝিঅ গো রাড়ি, আরঅ রাড়ি সখিনা ৷/ একৈ ঘরে তিনজন গো রাড়ি / খালি সোনার মদিনা......কী ঘটাইলে রাব্বানা ৷