বাউলশীত একতারা বাজিয়ে ফিরে যাবার পর হাহাকার করে ওঠে পুরাতন বুক ৷ ফেনিসেতুর স্বপ্ন দেখলে চা বাগানের ভেতর জেগে ওঠে কুয়াশামাদল ৷ প্রবীন শত্রুরা এসে বিষমাখা তির রেখে যায় শ্মশানশিবিরের ভিটের ওপর ৷ জীবনের শুরুতে সুখ ৷ সঞ্চয় যতো বাড়ে, মনখারাপের তুলোজড়ানো মেঘ ততো কালো হয় ৷ নদীর পাশে ফসলি জমি বিষাদশালিকেরা খুঁটে খায় মায়াদুপুর ৷ অন্ধকার ঠেলে চাঁদের স্তন ভেসে উঠলে মধুবোষ্টম নেচে বেড়ায় গোবিন্দমাঠে ৷ পাখিরা জড়াজড়ি চুমু খায় ৷ কখনো বা কেঁদে যায় পলাশবসন্তের আলোতে ৷
ফাগুনমোহিত কপোতেরা উত্তরপুরুষের ডিম রেখে যায় বাসাঘরে ৷ ছানাদের উড়ালপুল দেখাবে বলে শহরের অ্যান্টেনায় বসে মায়াশিস দেয় ৷ পিতাপাখি সাদা ডানা ঝেড়ে মেঘের আড়াল ৷ ভ্রমণমুখরা পাখিমা উড়ে ফেরে নাকাশিটিলার ওপর ৷ অনন্তবালক আপন পায়ে বেড়ি পড়ে সাঁতরে পেরিয়ে যায় গোমতী নদী ৷ তার চরণদুটি পাবার জন্যে ত্রিভুবন দেওয়ানা ৷
মানুষ ছাড়া সমস্ত শ্মশাচত্বর যেন শূন্যাকার,
হাবেলির খামারবাড়িতে বাজে বসন্তকেদার ৷
No comments:
Post a Comment