অশোকানন্দ রায়বর্ধন
ক্লান্ত আর বৃষ্টিস্নাত রাতে পরিশ্রমী মানুষ
আনন্দ আর মরমিয়া সুরে মনসামঙ্গল গেয়ে চলেছে
মনে হল আজই শ্রাবণ জন্ম নিয়েছে সোঁদা মাটির আঁচলে
তাইতো এই স্বরলিপিতে বেহুলার কান্নাভেজা আর্তনাদ ৷
বিষাদগানের মুখড়ায় আজ পয়লা শ্রাবণ
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
ক্লান্ত আর বৃষ্টিস্নাত রাতে পরিশ্রমী মানুষ
আনন্দ আর মরমিয়া সুরে মনসামঙ্গল গেয়ে চলেছে
মনে হল আজই শ্রাবণ জন্ম নিয়েছে সোঁদা মাটির আঁচলে
তাইতো এই স্বরলিপিতে বেহুলার কান্নাভেজা আর্তনাদ ৷
বিষাদগানের মুখড়ায় আজ পয়লা শ্রাবণ
পরিপাটি বিন্যাসের পর যদি প্রশ্নবোধক হয়ে যায়
স্বপ্নকানাৎ ছিঁড়ে যদি উঁকি দেয় জলকুন্ডলীর কিরণ
গুছিয়ে রাখা সব দস্তাবেজ উড়ে বানকুরালী হাওয়ায়
সন্ধ্যামালতীর নিঝুম নির্যাসে কিছু বিষাদ মেখে যাবে
সাজানো বাগান নিয়ে বড়াই দীর্ঘকাল ধরে রাখা দায়
কে কখন মুড়িয়ে যাবে প্রহরীবিহীন সিংদরোজা ঠেলে
জোছনা রাতের নিঃসঙ্গ মেঘ সরে যাবে ভদ্রাসন ছেড়ে
চাঁদকে আড়াল করে থমকে দাঁড়াবে অন্ধকারের আশায়
অস্ত্রসম্ভারে যদি সুসজ্জিত হয়ে ওঠে সমস্ত সরল কুসুম
প্রিয়নিলয়ে ঘরোয়া রণবাদ্য শুধু সময়ের অপক্ষায় থাকে
অস্ত্রের মুখে ভালোবাসার ব্যরিকেড হতে পারে মহৌষধি
আদিগন্ত প্রসারিত বাহু উদারবন্ধ আকাশ ছুঁয়ে যাবেই
এ শহর পাখিদের মুক্তাঞ্চল ৷ এ শহর ফুলেদের নাচঘর ৷ এখানের আকাশ উদোম কিশোর ৷ রাতের তারাদের অ্যাকোরিয়াম ৷ মাঠের ফসল লুটোপুটি খায় আত্মদানের আনন্দে ৷ মন্দিরময় এ শহর যেন সহজ মানুষের হরিবাসর ৷একমাত্র মসজিদটাকেও বুক দিয়ে আগলে রাখে , চিরাগ জ্বালায় এ শহরেরই সব ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ ৷ প্রান্তিকনদী ফেনির ওপার থেকে দখিন সমীরণ বয়ে আনে ওপারের আজানধ্বনি ৷এপার থেকে সংকীর্তনসসুর উত্তুরে হাওয়ায় পাখা মেলে উড়াল দেয় ওপারে ৷ সীমান্তবর্তী হয়েও অসীমান্তিক এ শহর স্বচ্ছতার শহর ৷ মুক্তমনের শহর ৷ বুকের ভেতর স্বপ্ন লালন করে আছে এশহর ৷ কোনদিন উদার আহ্বান জানাবে, 'আজি দখিন দুয়ার খোলা' ৷ 'এসো আমার ঘরে এসো, আমার ঘরে' ৷ এক বিশ্বপ্রেমিক আত্মার বাসভূমি আমার শহর সাব্রুম ৷
মাথুরকাঙাল ভাষায় খুলে দেওয়া সব কাঁটাবিষ
ঝরনাপ্রবণ উচ্ছ্বাসে ঝাঁপ দেবার আদিসূত্র
ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে কবিতাও বুঝি থমকে যায়
প্রেমের জন্যে জ্বর হলে দেখি কবিতার বাড়বাড়ন্ত