অন্ধকারের কড়চা
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
একেকটা বীভৎস ভিডিও বারবার ভেসে ওঠে আমার মোবাইলের পর্দায় । বারবার মুছেও উজবুকদের উৎসাহ এড়াতে পারি না । ছবিগুলো থেকে ভেসে আসা আর্ত চিৎকারে আমার শিশুটার ঘুম ভেঙে যায় ।
আমাদের হিরণ্ময় বিদ্রোহের দুপুরগুলো মহাসন্ধ্যার দিকে ঢলে পড়েছে, হিংস্র উল্লাসের চিত্রগুলো আমরা প্রতিক্রিয়াহীন দেখে যাই সমাজমাধ্যমে ।
ধর্ষণও হত্যার ছবি শেয়ার করে কি বোঝাতে চাই জানিনা নিজেও । জানিনা, কারণ আমার অবচেতনকে আমি চিনি না । আসলে এই ছবি দেখে প্রতিবাদ নয়, বিদ্রোহ, বিক্ষোভ নয়, অবচেতনের একটা সারমেয়র লালায় মহাপ্রস্থানের পথ পিচ্ছিল হয় ক্রমাগত ।
স্বঘোষিত সমাজকর্মীদের দ্বারা বারবার শেয়ার করা ঘৃণ্য দৃশ্যাবলী বস্তুত বিবেককে স্থবির করে তোলে । আর হিংসার আগুন আরো আরো বাড়ে । যেমন জুমের আগুন ছড়ায় পাহাড় থেকে পাহাড়ে । লেলিহান শিখায় পোড়ে মাতৃতান্ত্রিক ঐতিহ্য । মানবতা মরে যায়, লাশ গড়ায়, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে প্রমাণ লোপাট হয়ে যায় ।
আমাদের কবিতাগুলো নির্বাক শব্দই গেছে যায় ভাঙা ইমারতে । আর হাততালিতে উড়ে যায় লক্ষ্যহীন পথে একদল পোষা কবুতর । দ্রোহময় শব্দগুলো নিরবে অপেক্ষায় থাকে কখন শেষ সতর্ক সংকেত দিয়ে আছড়ে পড়বে অনিবার্য ঝড় । সে ঝড়ের অপেক্ষায় কাগজের ঘরের কবিতা হাওয়ায় উড়তে থাকে ।
No comments:
Post a Comment