অশোকানন্দ রায়বর্ধন
আটের দশকে আমি নিয়মিত যেতাম রমাপ্রসাদ গবেষণাগারে । পল্টুদার সঙ্গে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতাম তাঁর গবেষণাগার ঘেঁটে, বই পড়ে । আমি, পল্লব ভট্টাচার্য, হরিসূদন বসাক, পল্টুদা ক্যারাম খেলতাম সামনের খোলা জায়গাটায় । তিন আমাকে গবেষণাগারের সদস্যও করেছিলেন । যক্ষের মতো আগলে রাখতেন তাঁর ধন । কোনো কিছু জেরক্স করার দরকার হলে হাতছাড়া করতেন না । সঙ্গে বিশ্বস্ত লোক দিয়ে পাঠিয়ে জেরক্সের পর আবার তাঁর হেফাজতে নিয়ে নিতেন । সেদিন যেসব দুষ্প্রাপ্য দলিলপত্র দেখেছিলাম তিনি সুশৃঙ্খলভাবে ফাইলবন্দী করে রেখেছেন তার পুরোটাই গায়েব হয়ে গেছে । তাঁর নিজস্ব রচনাগুলোরও ফাইল ছিল দেখেছি । ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট দিতে পারত সেদিন । এখন অনেক লুটেরাই ডক্টরেট হবে তাঁর সম্পদ গিলে ।
No comments:
Post a Comment