Showing posts with label শব্দতত্ত্ব. Show all posts
Showing posts with label শব্দতত্ত্ব. Show all posts

Saturday, February 8, 2025

অনুষ্ঠিতব্য না অনুষ্ঠাতব্য

অনুষ্ঠাতব্য বা অনুষ্ঠেয় এদুটো শুদ্ধ (  ভবিষ্যতে অনুষ্ঠানযোগ্য অর্থে )
প্রত্যয় বিযুক্ত করলে দাঁড়ায়–
অনুষ্ঠাতব্য—অনু+✓স্থা+তব্য
অনুষ্ঠেয়— অনু+✓স্থা+য

Friday, June 30, 2023

ব্যাঙের ছাতা

ব্যাঙের ছাতা

অশোকানন্দ রায়বর্ধন

বর্ষার শুরুতে ঝোপেঝাড়ে, খড়ের গাদায় একধরনের ছত্রাক হয় । দেখতে ছাতা আকৃতি । তাই একে ব্যাঙের ছাতা বলা হয় । পাতাল ফুঁড়ে বেরিয়েছে তাই তার আর এক নাম 'পাতালকোঁড় । 'পাতালকোঁড়' বর্তমানে মাশরুম নামে সুপরিচিত ।  পশ্চিমবঙ্গের কোথাও কোথাও বলে 'ছাতু' ।  আমরা নোয়াখালি-চট্টগ্রাম ও সন্নিহিত দক্ষিণ ত্রিপুরায় একে 'ওল' বলি । তবে ওলকচু নয় । এই অঞ্চলে যে কোনো ধরনের ছত্রাককে 'ওল' বলা হয় । ছত্রাক থেকেই এসেছে ছাতু । খাওয়ার 'ওল' অনেকরকমের হয় । ভোজ্য ওল সবাই চেনেন না । গ্রামের বয়স্ক অভিজ্ঞ মহিলা পুরুষ এই 'ওল' চেনেন । তাঁরাই চিহ্নিত করেন 'সন্ধ্যা ওল', 'কুইচ্চা ওল', 'বৈচা ওল', 'হাঁসা ওল', 'গাচ্ছা ওল' ইত্যাদি । রান্না গুণে এই ওল মাংসকেও টেক্কা দেয় ।

Wednesday, June 21, 2023

রথ ও নরদেহ ।

জগন্নাথ এর রশির নাম শঙ্কচুড়,
বলদেবের এর রশির নাম বাসুকি নাগ,
সুভদ্রার রথের রশির নাম স্বর্ণচূড়।।

প্রতীকী অর্থে মন-কে বলা হয় জগন্নাথের রথের রশি । রথ মূলত কায়াকল্প । দেহরথকে মনই তো চালনা করে । দেহরূপ রথে প্রাণরূপ জগন্নাথ সেখানে বসত করেন । মানবদেহে ২০৬ খানা হাড় । রথেও ২০৬ খানা কাঠ । ষোলো চাকার রথে পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়, পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয় এবং বাকি ছয়টি চাকা ষড়রিপুর প্রতীক । প্রবাদে দেখি, শরীরে কর্মক্ষমতা না থাকলে বলা হয় ' রথ চলে না' । বার্ধক্যে মৃত্যুকামনায় বলা হয়, 'হাতে-রথে যেতে পারলে হয়' । কঠোপনিষদে তাই বলা হয়েছে–' শরীরং রথমেব তু' । বলা হয় থাকে 'রথে তু বামনং দৃষ্টা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে' । দেহরূপ রথে বামন অর্থাৎ সুক্ষ্মরূপ আত্মাকে দর্শন করলে আর পুনর্জন্ম হয় না ।

Saturday, May 13, 2023

জাদু বনাম যাদু

'জাদু' মানে ইন্দ্রজাল,ম্যাজিক । ( ফারসি শব্দ ) ।
'যাদু'  মানে বাছা, সন্তান । যদু বংশীয় বা যাদবসন্তান অর্থে 'যাদু' । শ্রীকৃষ্ণ সেই অর্থে 'যাদু বাছাধন' । 'যশোদা রাখিল নাম যাদু বাছাধন' ।

Monday, April 17, 2023

'পুঙ্গির' পুত- উৎস

'পুঙ্গির পুত'-র উৎস

বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের বার্মিজ ভাষায় 'ফুঙ্গি' বলা হয় । অনুশাসন মান্যকারী সেই সন্ন্যাসী যদি পুত্রসন্তানের জন্মদাতা হন তবে সেই অবৈধ সন্তানকে ' ফুঙ্গির পুত'> পুঙ্গির পুত বলা হয় ।  চট্টগ্রামী বাংলায় 'প'কে 'ফ' উচ্চারণ করা হয় । পূর্ববঙ্গের অন্যত্র 'ফ' বর্ণটি অল্পপ্রাণতা পেয়ে 'প' উচ্চারিত হয় ।এই অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আরাকান বংশোদ্ভুত মগ বা বা মার্মা জনগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে । তাদের একটা অংশ দক্ষিণ ত্রিপুরা ও ত্রিপুরার অন্যত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন ।

Saturday, December 4, 2021

হুঁইচা

কৃষিকাজে ব‍্যবহৃত একটি লোকসরঞ্জামের নাম 'হূঁইচা' ।। 'হুঁইচা' কথাটা ভুলেই যেতে বসেছিলাম । বরাক বাঁশের তৈরী বাঁক যার দুটো মাথাই থাকে সুঁচালো । সুঁচ বা হুঁইচের মতো দেখতে । তাই হুঁইচা । ধানের বোঝা গেঁথে কাঁধে তুলে নেওয়ার জন‍্যে বাঁকের মতো এটি ব‍্যবহার করা হয় । তারপর এক বিশেষ তালে গতির সঙ্গে পা ফেলে ধানের বোঝা বাড়ি নিয়ে আসা । চলার ছন্দে ঝুলন্ত বোঝা থেকে ঝুলন্ত ধানের গোছা থেকে মৃদু একটা মিষ্টি শব্দ বেজে যায় । ওই শব্দই চাষার বুকে সফলতার আনন্দ দেয় । ফলানো ফসল যখন চোখের সামনে মাঠে মারা যায় তখন চাষার দুঃখের অবকাশ থাকেনা ।
এক কর্ম কাজ । আর এক কর্ম ভাগ‍্য । দুটো নিয়েই কৃষকের জীবন । 'কর্ম কইল্লে অপরাধ নাই' । তীব্র উদ্দীপক বার্তা । আবার 'কর্ম করি আইনছো কি কইর্বা' । ভাগ‍্যকে দায়ী করেই জীবন গড়িয়ে নেওয়া সরল কৃষকের ।