ডাঅর লাইগজে, ডাঅর
আষাঢ় মাসের এই অঝোর বর্ষণকে লক্ষ্য করে আমার মা একটা প্রবাদ বলতেন-দশরথের দশদিন/দেবতা করে রাইত দিন । আষাঢ় মাসের এই লাগাতর বর্ষণদিনগুলোর কয়েকটা নাম আছে । এগুলোর এক একটাকে ' ডঅর' বা 'ডাঅর' বলা হয় নোয়াখালি ভাষায় । এভাবে আষাঢ়ের প্রথম দশদিন 'দশরথের ডাঅর' ,রথযাত্রায় তিনদিনের 'রথের ডাঅর' । এই বর্ষাতেই রয়েছে 'অম্বুবাচী'র 'ডাঅর' ৷ এখনকার বৌ ঝিরা এসব লোকসাংষ্কৃতিক বিষয় জানে কী ?
Monday, June 18, 2018
ডা অ র
Sunday, June 17, 2018
ঋ ণ স্বী কা র
আজ আমার এক বিরল অভিজ্ঞতা হল ৷ তুলে ধরার আগে প্রিয় পাঠকবর্গের কাছে বিনীত আবেদন রাখছি আজ অন্তত পাঠের পর লাইক বাটন চেপে এড়িয়ে যাবেন না ৷ ছোট্ট একটা মন্তব্য রাখার প্রয়াসও নেবেন ৷ আপনাদের সুচিন্তিত মন্তব্য থেকে রসদ নিয়ে আমি পুষ্ট হতে চাইছি আজ ৷ মনের গহনের একটা দ্বন্দ্বের নিবৃত্তিও চাইছি ৷
ভীষণ নিস্তরঙ্গ শান্ত আমার শহরটা ৷ মাঝে মাঝে সীমান্ত নদীটাই অশান্ত হয় ৷ উত্তাল ঢেউ তুলে দুকুল ভাসায় ৷ এই যেমন কদিন আগে বেপরোয়া প্লাবনে কাঁদিয়েছে আমাদের গ্রাম জনপদ ৷ আর মাঝে মাঝে দু একটা আকস্মিক দুর্ঘটনা, প্রিয়জনের হঠাৎ অচিনপুরে চলে যাওয়ায় আমরা ব্যথিত হই ৷ এছাড়া প্রতিদিন ছোটোখাটো সুখদুঃখের স্মৃতি নিয়েই আমাদের নিত্যযাপনচিত্র ৷ মহকুমা শহর থেকে প্রতিদিন যাওয়া আসা করা বাসগুলোই রাজধানীর ও রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগের অবলম্বন ৷ প্রয়োজনে একে অন্যের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে যাতায়াত করি ৷ এরই ফাঁকে কারো প্রয়োজনীয় ঔষধটা এনে দেওয়া, কারো পড়ুয়া ছেলেমেয়ের কাছে টাকাটা চাউলটা পৌঁছে দেওয়া, মাতাবাড়ি ত্রিপুরাসুন্দরী মায়ের ভোগের পেঁড়া এনে দেওয়া এসব ছোটোখাটো ফুটফরমাশ আমরা একে অন্যের জন্যে হাসিমুখেই কেউ না কেউ কখনো সখনো করে থাকি ৷ এসবের জন্যে কেউ কারো কাছে ঋণী থাকেন বা দুর্বলতা অনুভব করেন না ৷ তেমন করে কেউ মনেও রাখেন না ৷ জীবন তার মতো করে গড়িয়ে যায় ৷ যে বা যিনি উপকার করলেন তিনিও কী আর মনে রাখেন এসব ! আসলে এই মফস্বল শহরে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই একে অন্যের সঙ্গে কম বেশি পরিচিত ৷ খবরাখবর রাখি ৷ সুসম্পর্ক রাখি ৷ রাজনীতি এই শহরে এখনও তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছায়নি ৷ যার যার কর্মসূচীর শেষে একসঙ্গে বসে চা পান করেন ৷ এখনও দুদিন দেখা না হলে আন্তরিক উদ্বিগ্নতার জবাব দিতে দিতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয় ৷ নগর বা মহানগর হয়ে ওঠেনি এখনও আমার শহর ৷ শতাব্দীপ্রাচীন শহর এখনও নিষ্কলঙ্ক বলেই জানি ৷
আমাদের এই শহরের চিন্তাশীল, ভাবুক, মননশীল,তরুণ উদ্যোগী,সংবাদকর্মী, অবসরজীবী, নিষ্কর্মা এবং বুদ্ধিব্রতীদের মরূদ্যান হল এবিসিডি ৷ অর্থাৎ অশোক বসাকের চায়ের দোকান ৷ মালিক অশোকদা ব্যবসার তুলনায় এই মানুষগুলোর আড্ডা, হৈ চৈ, স্বভাব,ব্যবহার, আবদার নীরবে সহ্য করেন ৷ তাঁর বিখ্যাত রসগোল্লার মতো নিজেও সুরসিক ৷ দিনের বিভিন্ন সময়ে আড্ডার সদস্য পাল্টায় ৷ যেসময়ে অশোকদা থাকেননা তখন আড্ডাস্থল তাঁর ছেলে গৌরসুন্দরের বন্ধুদের দখলে চলে যায় ৷ এখানে আড্ডা দিতে আসা প্রত্যেকের সম্বন্ধে একটা করে ক্যারেকটারিস্টিক নোম্যানক্লেচার ব্যবহার করেন অশোকদা ৷ সবাই মজাও পায় ৷ আর জানেন কার কীরকম খাবার পছন্দ ৷ কে জিলিপি ভালোবাসেন, কে রসমালাই, কে গরম রসগোল্লা, কে কোন মিষ্টি নিরিবিলি বাড়ি নিয়ে যেতে পছন্দ করেন এমনকি কার বাড়িতে কারা কী পছন্দ করে সব তাঁর জানা ৷ আর জানেন কে চায়ে চিনি খাননা, কে কম খান, কে লিকার চা খান, কে দুধচিনিচা খান ৷ সব তাঁর নখদর্পনে ৷ অর্ডার দিলেই হল ৷ চেহারাটা দেখে নিয়ে সেভাবেই প্লেস করেন ৷ আমরাও যখন আড্ডায় মশগুল হই ৷ কেউ না কেউ চায়ের অর্ডার দিই ৷ সে সময়ে কেউ কোন কারণে খেতে আগ্রহী না হলে জানিয়ে দেয় ৷ কেউনা কেউ পেমেন্ট করি ৷ এ নিয়ে কোনো সমস্যা হয়না ৷ নির্ভেজাল আড্ডায় যেমন হয় আর কী ৷ দাম বাকি রাখতে হলে অশোকদা নিজেই জেনেবুঝে খাতায় লিখে রাখেন ৷
আজও বিকেলবেলা বাড়িতে বাজারটা পৌঁছে দিয়ে এখানে আড্ডা দিতে বসেছি ৷ আমার অগ্রজপ্রতিম দীপকদা (স্বপনদা) সঙ্গে তাঁর এক বন্ধু আগে থেকেই এ দোকানের বারান্দার বিখ্যাত পার্লামেন্ট কর্নারে বসেছিলেন ৷ তাঁরা কথাবার্তা বলছিলেন ৷ আমি বসেই তিনটে চায়ের অর্ডার দিলাম ৷ খোকন এসে চায়ের ধরন বুঝে নিচ্ছে ৷ নবাগত দাদা প্রথমত নিমরাজি হলেন পরে বললেন আমার সুগার ৷ চা টা অবশ্যই সেভাবে দিও কিন্তু ৷ খোকন ফিরে গিয়ে ঠিকঠাকমতোই চা করে এনে আমাদের দিল ৷ বেশ কতক্ষণ কথাবার্তা বললাম আমরা তিনজন ৷ একসময় স্বপনদার বন্ধু বাজারে যাবেন বলে উঠলেন ৷ আমাকে বললেন, আপনি আমাকে চা খাইয়েছেন ৷ আমি আপনার কাছে ঋণী রইলাম ৷ আমি আর একদিন চা খাওয়াব আপনাকে ৷ আপনি না করতে পারবেননা ৷ আমি বললাম, আরে একি বলছেন আপনি ৷ না না....... এ কী ৷ স্বপনদা বললেন, আরে কী কও তুমি ৷
তিনি চলে গেলেন ৷ আর বিশেষ কথা হলনা ৷
আমার একটু খটকা লাগল ভদ্রলোকের সৌজন্যতায় ৷ এমন অঙ্কের হিসাবে আমরা কী খাই না খাওয়াই ৷ তাও এককাপ মাত্র চা ৷ ভদ্রলোকের এথিকস হয়তো এটা ৷ ভালো খারাপ বুঝে উঠতে পারছিনা ৷ আসলে আমি কী এই এক কাপ চায়ের বিনিময়ে উত্তমর্ণ হয়ে গেলাম ৷ রবীন্দ্রনাথ যে বলেছেন, 'গ্রহণ যতো করেছ, ঋণী ততো করেছ আমায়' ৷ একথাটার মানে তাহলে কী? বিনীত ঋণী হওয়ার সুযোগ কোথায়?
Tuesday, June 12, 2018
ম হা ল য়া
মহালয়া এক বিশেষ তিথি ৷ মহালয়া বলতে বোঝায় পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবীপক্ষের শুরু ৷ পিতৃপক্ষ সূচিত হয় প্রধানত দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে গণেশ উৎসবের পরের পূর্ণিমা তিথিতে ৷ শেষ হয় অমাবস্যা তিথিতে ৷অপরদিকে উত্তরভারত ও নেপালে ভাদ্রের পরিবর্তে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয় ৷ সংস্কার অনুযায়ী ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা প্রতিপদ তিথি থেকে আশ্বিনের কৃষ্ণা পঞ্চদশী অর্থাৎ অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত সময়কে বলা হয় পিতৃপক্ষ বা প্রেতপক্ষ বা অমরপক্ষ ৷ হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, এই সময় প্রেতলোক থেকে পিতৃপুরুষবর্গের আত্মারা মর্ত্যলোকে নেমে আসেন নিজেদের ফেলে যাওয়া গৃহ ও পরিজনের প্রতি মায়াবশত ৷ মহালয়ায় তাঁরা সকলে মরজীবনের পরিবেশে ফিরে আসেন বলে অর্থাৎ তাঁদের বিদেহী আ়ত্মারা ফিরে আসেন বলেই তাঁদের জীবিত উত্তরপুরুষেরা সেই দিনটিতে তর্পনের দ্বারা তাঁদের বিদেহী আত্মার পরিতৃপ্তি বিধান করে প্রতিটি গৃহেই আনন্দোৎসব পালন করে থাকেন ৷ ' আলয় ' যেদিন 'মহ' অর্থাৎ আনন্দমুখর হয়ে ওঠে সেই দিনটাকেই বলাহয় 'মহালয়া' ৷
এতে বোঝা যায় যে মহালয়া হলো পূর্বপুরুষের পুজো বা প্রেতপুজোর এক বিশেষ তিথি ৷ এই পূর্বপুরুষ পুজো বা প্রেতপুজো মানবসংস্কৃতির ইতিহাসে মানুষের আদিম বিশ্বাসের সঙ্গে বহু প্রাচীনকাল থেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ৷
পুরাণকাহিনিতে আছে, মহাভারতের যুদ্ধে কর্ণ যখন মৃত্যুমুখে পতিত হন তখন তাঁর আত্মাকে খাদ্য হিসেবে গহনা নিবেদন করা হয় ৷ কর্ণ বিস্মিত হয়ে এর কারণ অনুসন্ধানের জন্যে দেবরাজ ইন্দ্রের শরণাপন্ন হন ৷ ইন্দ্র জানান যে, কর্ণ তাঁর জীবদ্দশায় কখনো পূর্বপুরুষের প্রতি খাবার, জল ইত্যাদি উৎসর্গ করেন নি ৷ উপরন্তু দাতাকর্ণ শুধুমাত্র সোনাই দান করে গেছেন আজীবন ৷ আর তাঁর সেই কর্মফলের কারণেই তাঁর ক্ষেত্রে তারই প্রতিফলন ঘটেছে ৷ কর্ণ এই বিষয়টা জানতেন না বলে তাঁকে পনেরো দিনের জন্যে মর্ত্যে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো যাতে তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের জল ও খাবার উৎসর্গ করতে পারেন ৷ হিন্দু পুরাণ মতে, এই পিতৃপক্ষ সময়কালে তিন পূর্ববর্তী প্রজন্মের আত্মা পিতৃলোকে ( স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি) অবস্থান করেন ৷ পরবর্তী প্রজন্মের কারও মৃত্যুর পর যমরাজা আত্মাকে পিতৃলোকে নিয়ে যান এবং প্রথম প্রজন্ম স্বর্গলোকে উন্নীত হয় ৷
পুরাণ মতে এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে ৷ অশুভ অসুরশক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোক থেকে বিতাড়িত হন ৷ চারদিকে অশুভ শক্তির আস্ফালন ৷ এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করার লক্ষ্যে দেবতারা সমবেত হন ৷ অসুরশক্তির বিনাসে তাঁরা এক মহাশক্তির আবির্ভাবের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন ৷ দেবতাদের তেজোরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরদলনী দেবী দুর্গা ৷ মহালয়ার কাল হলো ঘোর অমাবস্যা ৷ দেবী দুর্গার আবির্ভাবে তাঁর মহাতেজের জ্যোতিতে সেই অমাবস্যা দূরীভূত হয় ৷ প্রতিষ্ঠিত হয় শুভ শক্তির ৷ অসুরবিনাশিনী দেবী দুর্গা স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল তথা ব্রহ্মান্ডের অর্থাৎ 'মহানিকেতন'র অধিশ্বরী ৷ তাঁরই আগমনী তিথির নাম 'মহালয়া'
Friday, June 8, 2018
বি ভ্র ম
গাছটি তার শরীর দিয়েছে ছড়িয়ে
গাছটি তার শেকড় বিস্তার করেছে অনেকদূর
গাছটি প্রাচীন ও প্রাজ্ঞ
তারই ছায়ায় বেড়ে উঠেছি আমি
জড়িয়েছি তার সাথে শরিকী বিবাদে
মাঝে মাঝে নিজেকে ভেবেছি তার সমান কিংবা আরো বড়ো
অবিরাম নিন্দাগানে মজেছি
ভেবেছি তার ডালপালা ছাঁটার কথা
মাথার ছাদ না থাক
বেড়ে ওঠাই বড়ো কথা
এভাবে আমার শিল্পনৈপুণ্যে
মহীরুহ শেষ
আর এক অর্বাচীন গাছ মাথা ঠেকিয়েছে আকাশে ঝড়ো হাওয়া ঠেলে
প্রাচীন বৃক্ষের পতন হয়েছে নিঃশব্দে
আমিও শীর্ণকায় ও শূন্যতাময়
ঘা ট
পারের আশায় বসে থাকায় কোনো ব্যর্থতা নেই
সুজন মাঝি এসে নিয়ে যাবেই
শুধু সেই ওপারে যেতে চায় না
যে তার ঘটে জল ভরে নিয়েছে
পিছুটান শুধু তারই বুকে মুরলির শিশ দেয়
ঘরে ফেরার সময় পেছনের জলে সূর্য শুয়ে থাকে
বি ভ্র ম
গাছটি তার শরীর দিয়েছে ছড়িয়ে
গাছটি তার শেকড় বিস্তার করেছে অনেকদূর
গাছটি প্রাচীন ও প্রাজ্ঞ
তারই ছায়ায় বেড়ে উঠেছি আমি
জড়িয়েছি তার সাথে শরিকী বিবাদে
মাঝে মাঝে নিজেকে ভেবেছি তার সমান কিংবা আরো বড়ো
অবিরাম নিন্দাগানে মজেছি
ভেবেছি তার ডালপালা ছাঁটার কথা
মাথার ছাদ না থাক
বেড়ে ওঠাই বড়ো কথা
এভাবে আমার শিল্পনৈপুণ্যে
মহীরুহ শেষ
আর এক অর্বাচীন গাছ মাথা ঠেকিয়েছে আকাশে ঝড়ো হাওয়া ঠেলে
প্রাচীন বৃক্ষের পতন হয়েছে নিঃশব্দে
আমিও শীর্ণকায় ও শূন্যতাময়
Wednesday, June 6, 2018
নি শি ডা ক
তুমি যখনই ডাকো যেন ভোরাই ছুটে আসে
শিলাছড়ির ওপারের আলুটিলা মোন্ তার উঁচু ও বিশাল
শরীর বাড়িয়ে আমাকে দেখে হেসে ফেলে৷ নিখাদ অট্টহাসি তার ৷ এবং নিটোল ৷
তার পেছনে লুকিয়ে থেকে কে যে আগুনে গুলাল
ছুঁড়ে মারে মেঘের সাদা পোষাকের উপর
তোমার ডাকের ভেতর থাকে নির্জন ইশারা
আমি সম্মোহিতের মতো জেগেও তন্দ্রাতুর
তুমি নিশির ডাকে ঘিরে ফেলো আমাকে ৷
Tuesday, June 5, 2018
অন্ধবাথান
অন্ধবাথান
-অশোকানন্দ রায়বর্ধন
...................................
যে জনপদে কোলাহল নেই সে মৃতবৎ ৷
প্রাণের সঞ্জীবনী সঙ্গীতের রণন থাকে না চরাচরে
এখানে দেখি প্রতি সন্ধ্যার উলুময়তার পর
হঠাৎ নেমে আসে নির্লিপ্ত নিঝুম ঝিঁঝিঁর ডাক
আঁধারের আস্তানায় গুঞ্জন থামিয়ে দস্তানা খুলে
হাত বাড়ায় নৈশব্দের দানোজানোয়ার
পড়শির মোকাম জুড়ে ঘুমের সম্মোহন
সব যেন রূপকথার জাদুপুরীর নিস্তব্ধতা
কোথায় হাত বাড়াবো আমি, কোন অন্ধবাথানে?
..........................................