অনেকদিন পরে যেন ঘরে ফিরলাম বিধ্বস্ত সৈনিকের মতো । আসলে কী ফিরলাম ঘরে ? দু হাজার আটে পদোন্নতির ফলে সাব্রুম দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের উঁচু ক্লাসে পড়ানোর পাঠ চুকিয়ে গিয়েছিলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সর্দারি করতে । ভাগ্যের প্রথমটা আশাহত হয়েছিলাম । পরে জেদ চেপে বসে , কিছু করে দেখাতে হবে। প্রত্যন্ত মিশ্র জনবসতি এলাকায় জয়কুমার রোয়াজা পাড়া স্কুলে ঢুকেই হাত দিলাম কাজে ।সকল সহকর্মীর মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা আনা দরকার । নিজেকে দিয়েই শুরু হোক । দুর্গম এলাকায় সময়মতো গাড়ির অভাবে স্কুলে পৌঁছাতে কষ্ট হতো । উপায়ান্তর না দেখে জিপিএফ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে একটা লাল বাইক কিনলাম । এই লালুকে নিয়ে স্কুলসহ হাজারো কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লাম । পর পর আই এস হিসেবে যাঁদের পেয়েছি রণজিত মজুমদার , অর্জুন শর্মা , সমরেন্দ্রনাথ দাস এবং বর্তমানের সঞ্জিত মালাকার সবাই আমার অনুজপ্রতিম । স্কুলের উন্নয়নে যখন যা দরকার আবদার করেছি কেউ ফেরান নি আমাকে । যার ফলে স্কুলটাকে রাজ্যের মধ্যে একটা জায়গায় দাঁড় করাতে পেরেছি । অনুজ ও সন্তানপ্রতিম কজন তরুণ শিক্ষককে পেয়েছি যাঁরা আমাকে সর্বক্ষণ সাহচর্য দিয়ে গেছেন । টিমওয়ার্ক যে কীভাবে গঠনমূলক চিন্তাকে ফলপ্রসূ করতে পারে তার উদাহরণ ৷ ( 2. 8. 2014. তে লেখা আমার দিনলিপি)
No comments:
Post a Comment