Tuesday, November 9, 2021

সা ক্ষা ৎ কা র

লোক গবেষক অশোকানন্দ রায়বর্ধনের মুখোমুখি সম্পাদক বিজন বোস 
--------------------------------

প্রশ্ন 
------- ১ ) আপনার জন্ম কী সাব্রুমেই ? উত্তর যদি না হয়ে থাকে তবে কখন এলেন?  সাব্রুমের আদি ইতিহাস সম্পর্কে যদি কিছু বলেন ...
  উ:--না । বাবার চাকুরিসুত্রে আমরা দীর্ঘদিন সাব্রুমের বাইরে কাটিয়েছি । মাঝে মধ‍্যে গ্রামের বাড়িতে আসতাম বাবার সঙ্গে । একাত্তরের যুদ্ধের সময় কিছুদিন এবং বাবার ছোটোখিল সরকারি ডিসপেনসারিতে বদলির কারণে বাহাত্তর সাল থেকে পাকাপাকিভাবে আছি । সাবরুম এর ইতিহাস সম্বন্ধে আলোচনা করতে গেলে আমাদের তাকাতে হবে রাজন্য ত্রিপুরার ইতিহাসের দিকে মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যের ( ১৮৬২ খ্রি.– ১৮৯৬ খ্রি. ) পুত্র রাধা কিশোর মানিক্য (১৮৯৬ খ্রি.–১৯০৯ খ্রি. ) প্রায় 40 বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহন করেন যুবরাজ থাকাকালীন সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যের শাসন পরিচালনার বিষয়ে তার দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন । রাধা কিশোর মানিক্য হাজার ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের পুলিশ ও তহশীল বিভাগকে আলাদা করেন পুলিশ বিভাগকে তহশীল ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পুলিশ বিভাগকে পৃথক করার পর ত্রিপুরা রাজ্যে অনেকগুলি নতুন নতুন থানা ও তহশীল কাছারি গড়ে তোলা হয় সে সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথম পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট নিযুক্ত হয়েছিলেন সেই সময়ে সাবরুম থানা ও তহশীল কাছারি স্থাপন করা হয় বর্তমানে যেখানে থানার দালানটি রয়েছে তার বেশ কিছুটা দক্ষিনে সামনের দিকে দরজা স্থানীয় পর্যায়ের বেড়া দেওয়া চৌচালা বড় ঘর ছিল পাশে বড়বাবু থাকতেন । ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ১২মার্চ ( ২৮ শে ফাল্গুন ১৩১৮ খ্রি. ) উত্তর ভারত তীর্থ ভ্রমণের সময় কাশী থেকে সারনাথ যাওয়ার পথে এক মোটর দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর কাশীরাজের বাড়ি নন্দেশ্বর কুঠিতে রাধা কিশোর মানিক্য শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । রাধাকিশোরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র যুবরাজ বীরেন্দ্রকিশোর ত্রিপুরার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন হাজার ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে মহাসমারোহে বীরেন্দ্র কৃষ্ণের রাজ্যভিষেক হয় পরের বছর অর্থাৎ ১৯১০ সালে মার্চ মাসে সাব্রুম বিভাগ খোলা হয় । এর আগে এই বিভাগের কাজকর্ম উদয়পুর ওপরে বিলোনিয়া থেকে পরিচালিত হতো । ১৯১০ সালে সাবরুম বিভাগ খোলা হলেও যথেষ্ট পরিকাঠামোর অভাব ১৯৩০ সাল পর্যন্ত বিলোনিয়া থেকে সাব্রুম এর প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানো হতো । বিলোনিয়ার হাকিমই এই বিভাগের সর্বময় কর্তা ছিলেন । মাঝেমধ্যে বিভাগ পরিদর্শনে আসতেন । প্রথমদিকে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ঠাকুর বংশের বিশিষ্ট প্রশাসনিক ব্যক্তিরা সাব্রুম এর দায়িত্ব পালন করতেন । মহকুমা শাসককে সেকালে হাকিম বলা হত । এই থানার একটু দক্ষিণে অর্থাৎ বর্তমানে যেখানে সাব্রুম দ্বাদশ শ্রেণি বালিকা বিদ্যালয় সেখানেই ছিল মহকুমা শাসকের কার্যালয় । আর একটু এগোলে পূর্বদিকে বর্তমান এসপি অফিসের পাশেই ছিল জেলখানা । চল্লিশের দশকের পর থেকে ক্রমান্বয়ে সাব্রুমে স্থায়ী হাকিম বা এসডিওরা আসতে থাকেন ।
২) বছর পঞ্চাশেক আগেও ছোটখিলের রাণীরবাজার ছিল সাব্রুমের প্রধান বাজার । এই সম্পর্কে এবং সাব্রুমের অনান্য বড় বাজারগুলির ব্যবসা বাণিজ্য তথা তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে সাব্রুমের ব্যবসা বাণিজ্য সম্পর্কে জানতে চাই...
উ: -- বছর পঞ্চাশ নয় । তারও বহু আগে রাজন‍্য আমল থেকে শুরু করে বিগত শতাব্দীর পাঁচের দশক পর্যন্ত জমজমাট ব‍্যবসাকেন্দ্র ছিল ছোটোখিলের রানিগঞ্জ বাজার । মূলত রাজন্য আমলে রানিগঞ্জ বাজার সন্নিহিত বাগানবাড়িতে রাজস্ব আদায়ের জন্য রাজপুরুষেরা আসতেন । সেই থেকে রানিরবাজার একটা জমজমাট গঞ্জে পরিণত হয় । রাজারা আখাউড়া থেকে রেলযোগে মুহুরীগঞ্জ এসে তারপর নৌপথে ফেনী নদীর উজান বেয়ে এই রানিগঞ্জ বাজার ঘাটে এসে নামতেন । একসময় এ বাজারে বাঙালি ও অবাঙালি মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ছিল । তেলের ঘানি ছিল । বড়ো বড়ো কাপড়ের দোকান ছিল । দামি মশলাপাতি সহ বড়ো বড়ো বাজেমালের দোকানও ছিল । সে সময়ে বিলোনিয়ার মাইছরা বিমান ঘাঁটি থেকে ঘোড়ার পিঠে করে পণ‍্য আনা হত এই রানিগঞ্জ বাজারে । ভারত ভুক্তির পর সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে এ বাজারটি । অবশ্য সবটাই ছিল কালোবাজারি ব্যবস্থা । এসময় ব্যবসা করে এই বাজারের অনেক ব্যবসায়ী যেমন ফুলে-ফেঁপে উঠেন তেমনি একেবারে কপর্দকশূন্য হয়ে যান অনেক ব্যবসায়ী । ষাটের দশকের শুরুতে এক বিধংসী অগ্নিকাণ্ডে এই বাজার সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় । এছাড়া সে সময়ে রানিগঞ্জ বাজারে ছিল এক বিশাল গোরুর হাট । পরবর্তী সময়ে সীমান্ত সংলগ্ন বাজার হওয়ার ফলে এখান থেকে বিক্রীত গরু ওপারে পাচার হয়ে যেত । ফলে স্থানীয়ভাবে  গোসম্পদের ঘাটতি দেখা দেয় । এদিকে গোরু চুরিও বেড়ে যায় খুব । তখন সরকার আইন করে রানিগঞ্জ বাজারের গোহাটটি বন্ধ করে দেন । মূলত অগ্নিকাণ্ড, গরুর বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কালোবাজারে এপার-ওপার পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার উপর সরকারি নজরদারি বেড়ে যাওয়ার ফলে রানীগঞ্জ বাজারের রমরমা ধীরে ধীরে পড়তির মুখে এসে যায় । ফলে অনেক বর্ধিষ্ণু ব্যবসায়ী সাবরুম বাজারে এসে তাদের ব্যবসা শুরু করেন । মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীরা আগরতলা চলে যান ।

৩)  আপনার স্কুল জীবন সম্পর্কে  ...( এটার উত্তর দিতে গিয়ে যদি সাব্রুম না আসে তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর না দিলেও হবে )
উ:--আমার স্কুলস্তরের পড়াশুনো সাব্রুমে নয় । তবে বিশেষ অনুমতি নিয়ে উনিশ শো বাহাত্তর সালে পুজোর ছুটির পর কদিন সাব্রুম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে স্কুলজীবনের শেষসময়টা অলিখিতভাবে ক্লাশ করেছি । এবং সেন্টার চেঞ্জ করে কমলপুর থেকে সাব্রুম সেন্টারে হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় বসেছি ।

৪) মানুষের জীবনে শিল্প সংস্কৃতি এক বড় অবদান রাখে ।  সাব্রুম মহকুমার সংস্কৃতি চর্চায় ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা সেকাল থেকে একাল -- কিছু বলুন 
উ:-- সাব্রুমের বৈশাখী মেলার একটা পুরোনো ঐতিহ‍্য রয়েছে । স্বাধীনতার পূর্বে সাবরুম শহরের মানুষজন ফেনী নদী পেরিয়ে ওপারের রামগড় বাজারে বাজার হাট করতেন । সে সময় ওই অঞ্চলে ছিল ব্রিটিশ সরকারের অধীন । স্বাধীনতা লাভের শুরুতে ত্রিপুরা রাজন‍্যশাসিত স্বাধীন রাজ্য ছিল । সাব্রুম সন্নিহিত ফেনী নদীর ওপারে ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় । ফলে ওপারের রামগড়ে পাকিস্তানের শাসকেরা কড়াকড়ি শুরু করে দেন । ফলে এপারের মানুষজন ওপারে ততটা যাওয়া-আসা করতে পারতেন না । সেখানকার নাগরিকরাও এপারের মানুষ জনকে অনুরোধ করেন যাতে তারা আর ওপারে না আসেন কারণ পাকিস্তানী পুলিশ মিলিটারির দ্বার তাঁরা নাজেহাল ও অপমানিত হলে স্থানীয় মানুষজন তাদের সাহায্য করতে পারবেন না । এরপর থেকেই রামগড়ের সঙ্গে সাবরুম এর যোগাযোগটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । স্থানীয় মানুষও সাব্রুমে বাজার প্রতিষ্ঠার তাগিদ অনুভব করেন । ১৯৪৮ সালের ১৫ই অক্টোবর ত্রিপুরা রাজ্য ভারত ভুক্ত হয় এবং প্রায় সেই সমযয়েই সাবরুম বাজার প্রতিষ্ঠিত হয় । তারপরেই সাব্রুম এর প্রবীণ নাগরিক গণ সাবরুম বৈশাখী মেলার আয়োজন করেন । প্রথমে বৈশাখ মাসে বুদ্ধপূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে এই মেলা অনুষ্ঠিত হত । ঊনিশ শো পঞ্চাশ সাল থেকে এই মেলায় সব অংশের জনগণ সামিল হন । সেসময়ে পুরো বৈশাখমাসব‍্যাপী এই মেলা হত । এবং এই সময়ে শনি-মঙ্গলবারের নির্ধারিত বাজারটিও বর্তমান মেলারমাঠে বসত।

৫) সাব্রুম মহকুমা বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা । সেখানকার রাষ্ট্রীয় জীবনের সুঃখ দুঃখ ত্রিপুরাবাসীকে আন্দোলিত করে । বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে সাব্রুমের অবদান সম্পর্কে কিছু বলুন 
উ:-- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাব্রুমের এক বিশেষ অবদান রয়েছে । প্রথমত উল্লেখ্য যে মুক্তিযুদ্ধের এক নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল সাব্রুম সন্নিহিত হরিনাতে ।এই এক নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ অর্থাৎ মুহুরী নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত । ২৫ শে মার্চের পর প্রথম দিকে রামগড়ে মুক্তিবাহিনী তাদের ঘাঁটি গেড়ে পাকবাহিনীর উপর আক্রমণ শানাতে আরম্ভ করে । রামগড় স্কুলের মাঠে মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং হত । তারপর ২মে পাকবাহিনী প্রথম রামগড়ে হানা দেয় এবং তারা রামগড় তাদের দখলে নিয়ে নেয় । এরপরই মুক্তিযুদ্ধের এক নম্বর সেক্টরের প্রধান কার্যালয় সাব্রুমের হরিনাতে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়ে অপারেশন চালানো হয় । এরপর থেকেই বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজারে শরণার্থী সাব্রুমে আশ্রয় গ্রহণ করে । পঁচিশে মার্চ রাতে ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর রামগড় বাগান বাজারের সেকান্তর মিয়া ওপার থেকে এম আর সিদ্দিকী জহুর আহমেদ ডক্টর নুরুল হাসান সহ আরো দুজন কে সঙ্গে নিয়ে রামগড় বাজার ঘাট দিয়ে ফেনী নদী পেরিয়ে সাব্রুম এর সে সময়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি জ্ঞানেন্দ্রনারায়ণ রায় চৌধুরী ও কালিপদ ব্যানার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করেন । পরে তারা বিষয়টি শচীন্দ্রলাল সিংহকে জানালে তিনি দিল্লীতে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেন । সেই অনুযায়ী তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতের পক্ষে অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্যবল দিয়ে সাহায্য করার বার্তা দেওয়া হয় । রামগড় ও সাব্রুমের মাঝখানে ফেনী নদীর উপর সে সময়ে একটা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয় । সেই সাঁকো দিয়ে এপারর থেকে যুদ্ধের গাড়ি, সৈন্য এবং  মুক্তিবাহিনী সে দেশে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হত । মুক্তিযুদ্ধের এক নম্বর সেক্টরের প্রথমদিকে দায়িত্বে ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান । তারপর পুরোপুরি দায়িত্বে আসেন মেজর রফিকুল ইসলাম বীরোত্তম । এই এক নম্বর সেক্টরটি আবার পাঁচটি সাব-সেক্টরে   ছিল । ঋষ‍্যমুখ সেক্টর, শ্রীনগর সেক্টর, মনুঘাট সেক্টর, তবলছড়ি সেক্টর এবং দেমাগ্রী সেক্টর। একনম্বর সেক্টর থেকে করেরহাট অপারেশন, করিমাটিলা সংঘর্ষ, বড়তাকিয়া ও মিরসরাই অপারেশন, পাতাকোট অ্যাম্বুশ, বাগান বাজার রেইড ও আমলীঘাট যুদ্ধ ইত্যাদি সংঘটিত হয় । এক নম্বর সেক্টর থেকে যুদ্ধে অংশ নেয় প্রায় ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা । যেখানে ইপিআর, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রায় ২০০০ সৈন্য ছাড়াও প্রায় ৮ হাজারের মতো মুক্তিবাহিনী লড়াই করেছেন । এই বাহিনীর গেরিলাদের অধীনে গ্রুপ নাম্বার ৯১ ৯২ ৯৩  ৯৪ এবং ৯৫ কে সংযুক্ত করা হয়েছিল । এক নম্বর সেক্টরের আওতায় সর্বপ্রথম ৫ মে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দল গঠন করা হয়েছিল এই দল গঠনের নেতৃত্বে ছিলেন রঞ্জন ত্রিপুরা । ৭ ডিসেম্বর নয়টা পঁচিশ মিনিটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর তিনটি জেট বিমান রামগড়ের উপর বোমাবর্ষণ করে এরপর 8৮ডিসেম্বর ৯:৫০ এ পুনরায় দুটি বিমান পাক ঘাঁটির উপর বোমাবর্ষণ করে । ৮ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে পাকবাহিনী রামগড় ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং মুক্তিবাহিনীর ও মুক্তিপ্রাপ্ত জনগণ সেদিন রামগড়ে বাংলাদেশ পতাকা উড়িয়ে দেন । ৮ ডিসেম্বর রামগড়ে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় সে সময় সেসময় ভারতের পক্ষে তদানীন্তন ব্লক কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট জ্ঞানেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী উদয়পুরের তরুণ সাংবাদিক স্বপন ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। তারপর ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশ বিজয় লাভ করে ।

৬) খেলাধুলা ও শরীরচর্চা  রাষ্ট্র গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।  খেলাধূলায়   রাজ্যের সঙ্গে সাব্রুমের  তুল্যমূল্য আলোচনা শুনতে চাই 
উ:-- সাব্রুম খেলাধূলায়ও বিশেষ স্থান দখল করে আছে । অ্যাথলেটিকস, ফুটবল কাবাডি, খো খো, সাঁতার, ব‍্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, ভলিবল এবং ক্রিকেটে বহু জাতীয় স্তরের কৃতী খেলোয়াড় বেরিয়েছে সাব্রুম থেকে ।
৭)  সাহিত‍্যচর্চায় সাব্রুম কতটা এগিয়ে আসতে পেরেছে বলে আপনার মনে হয় ।  উ:--সাহিত‍্যক্ষেত্রে সাব্রুমের উপস্থিতি বেশ প্রাচীন । ছয়ের দশক থেকে এখানে লাখালেখি করে আসছেন কৃষ্ণধন নাথ, ড.রঞ্জিত দে প্রমুখ । তাঁদের পরপরই আসেন ড. ননীগোপাল চক্রবর্তী, হরিহর দেবনাথ, প্রণব মজুমদার, নেপাল সেন, দীপক ( স্বপন ) দাস, প্রবীর বসাক ,অশোকানন্দ রায়বর্ধন । ধীরে ধীরে নতুনরা আসতে শুরু করেন । তাঁদের মধ‍্যে সমরেন্দ্রনাথ দাস, রতন চক্রবর্তী, বিনয় শীল, ব্রজেন্দ্র বিশ্বাস, সাচীরাম মানিক, সঞ্জীব দে, বিজন বোস, জয় দেবনাথ, রূপন মজুমদার, অভিজিৎ দে, চয়ন ধর, সংগীতা শীল, পূর্ণিমা বৈদ‍্য প্রমুখরা । নতুনদের অনেকেই ইতোমধ‍্যে বৃহত্তর পাঠকমহলের নজর কাড়তে পেরেছেন । প্রবীনদের অনেকেই রাজ‍্য ও রাজ‍্যের বাইরে সুপরিচিত ।

No comments:

Post a Comment