"নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত ছাগলনাইয়া থানার অধীন চাকলে রোশনাবাদ ত্রিপুরার মহারাজের জমিদারিভুক্ত । ১১৪২ ত্রিপুরাব্দে ( ১৭৩২ খ্রিস্টাব্দ ) মহারাজ ছত্রমানিক্যের প্রপৌত্র জগতরাম ঠাকুর বলদাখালের জমিদার আকামাদের সাহায্যে ঢাকা নেজাড়তের সুবিখ্যাত দেওয়ান মীর হাবিবের সহিত সম্মিলিত হয়েন । মীর হাবিব ত্রিপুরা বিজয়ের উত্তম সুযোগ বিবেচনা করিয়া নবাব সুজাউদ্দিনের অনুমতি গ্রহণপূর্বক একদল সৈন্য লইয়া ত্রিপুরার সমতল ক্ষেত্র অধিকার করেন । নবাব সুজাউদ্দিন এই অধিকৃত ক্ষেত্রকে চাকলে রোসনাবাদ এই আখ্যা প্রদান করেন । তদবিধি এই বিস্তীর্ণ জমিদারি চাকলে রোসনাবাদ আখ্যায় অভিহিত হইতেছে । ইহার পরিমান ফল ১৩০.৩৭ বর্গমাইল ।" ( নোয়াখালীর ইতিহাস- প্যারীমোহন সেন, পৃ. সত্তর )
"নবাব সুজাউদ্দিন রাজপরিবারের বিবাদের সুযোগে ত্রিপুরার সমতল ক্ষেত্রকে চাকরি রস্নাবাদ খাদান পূর্বক বার্ষিক ৯২ হাজার ৯৯৩ টাকা কর ধার্য করে রাজা জগৎ মানিক্যকে ( প্রকৃত রাজা নহেন ) জমিদারি স্বরূপ প্রদান করেন । সময় অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ ।
অনেক দায় দরবারের পর বার্ষিক মাত্র ৫ হাজার টাকার রাজস্ব নির্ধারণপূর্বক জমিদারি স্বরূপ মহারাজা দ্বিতীয় ধর্ম মানিক্য তা প্রদান করা হয় । ত্রিপুরার মহারাজা বাংলার নবাবের অধীন জমিদার শ্রেণীতে পরিণত হন এবং ত্রিপুরার সমতল ক্ষেত্র মূল রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।" ( ত্রিপুরার ইতিবৃত্ত শ্রী জিতেন্দ্র চন্দ্র পাল পৃ. ৯ )
No comments:
Post a Comment