স্বদেশ
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
ছায়াপথের গভীর রেখা বেয়ে আলোর রোশনাই
মজে গিয়ে নিভতে থাকে অমৃতপথের বাঁধানো বাতির উজ্জলতা ।
স্বপ্নের বদলে দেখতে দেখতে দ্রোহের তর্জমা গর্জে উঠে ।
ধৈর্যশীল নক্ষত্রের মতো অবিরাম জেগে থাকে
বিন্দু বিন্দু আশ্বাসের রামধনু ।
ভেসে ওঠে নির্ঝঞ্ঝাট আকাশের হৃদয়ে ।
আমাদের পিতামহগণ অক্লান্ত যাত্রিকের মতো
এক দুরন্ত ট্রেনের সওয়ার হয়ে স্বপ্নযান দেখেছেন ।
তাদের যুদ্ধ ভূমির গর্ভ গৃহে বারুদের মত জমেছে স্বদেশপ্রেম ।
একাকার হয়েছে স্বদেশ ও প্রেম ।
তাদের পায়ে বেজেছে অস্থির শেকড়ের ঝংকার ।
বন্দী আকাশের গায় ফুটে ওঠে ত্রিবর্ণের আলপনা ।
আমরা বহুবর্ণে ঢেকেছি আমাদের গৌরব ।
জটিল হয়েছে ক্রমশ আমাদের যাপন ।
স্বদেশ কার কিংবা কার নয় তারই সমীকরণ কেবল ।
যে ঝড়ের শব্দে বেরিয়ে পড়ে চলে গেছে বহু প্রাণ ।
ফিরে আসেনি তোমার কোলে ;
আর তাদেরই উত্তাল আন্দোলনের উত্তরাধিকার নিয়ে
আমরা পালন করি প্লাটিনাম উৎসব ।
মানুষের স্বাধিকারের তমসুক বদলে যায় স্বপ্নহীন হালখাতায় ।
মানবতার গান বাঁধে অমানবিক মানুষ ।
একদল মানুষের দুখরাতে ভরে যায় দিনলিপি
ভাতের থালা টেনে নেয় কালো পিঁপড়ের দল ।
প্রতিটি পনেরোর তুমি আলোকিত হয়ে ওঠো উজ্জ্বল রোদে
আর আমরা সামনে দেখি আরো ফর্সা দীর্ঘ পথ।
No comments:
Post a Comment