ঊনকোটি জেলা ও উত্তর ত্রিপুরায় বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে গীত হয় শ্রীকৃষ্ণের গোষ্ঠ লীলাকীর্তন।
শ্রাদ্ধবাসরে হওয়ায় এই কীর্তনের নাম 'যমকীর্তন' ৷
দক্ষিণ ত্রিপরায়ও শ্রাদ্ধবাসরে এধরণের কীর্তন হয় ৷ নোয়াখালি চট্টগ্রাম থেকে উঠে এ অঞ্চলের হিন্দু ও বৌদ্ধ ( বড়ুয়া ) জনগণের সংস্কৃতিতে এই বিষয়টা রয়েছে ৷ এই কীর্তনকে এই অঞ্চলে বলা হয় 'হটি' কীর্তন ৷ হিন্দুবাড়িতে 'নিমাই সন্ন্যাস', 'হরিশ্চন্দ্রের শ্মশানমিলন', বৌদ্ধদের অনুষ্ঠানে 'বুদ্ধ সন্ন্যাস' কীর্তন করা হয় ৷
ঊনকোটি জেলা ও উত্তর ত্রিপুরার যমকীর্তন আর আমাদের হটিকীর্তন দুটোরই পরিবেশন প্রক্রিয়া ভিন্ন ৷ কিন্তু একই উদ্দেশ্য ফল্গুধারার মতো অলক্ষ্যে প্রবাহিত ৷ গোষ্টলীলার বিষয়বস্তুতে যেমন মায়ের সঙ্গে সন্তানের ক্ষণিক বিচ্ছেদবেদনার আবহ রয়েছে তেমনি নিমাইয়ের সন্ন্যাসযাত্রাও এক বিচ্ছেদবিধূর কাহিনি ৷ তেমনি ভাগ্যদোষে রাজা হরিশ্চন্দ্রেরও স্ত্রীপুত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শ্মশানচন্ডালের জীবিকায় দিনযাপনও বেদনাঘন ৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে এই পালাগুলো নির্বাচনের মধ্যেও অনির্দেশের পথে চলে যাওয়া প্রিয়জনের জন্যে বেদনার সুরটিই ধ্বনিত ৷ সেই বেদনার প্রকাশের প্রতীকী রূপ এই জাতীয় সংগীত ৷ স্থান ভেদে প্রকাশভঙ্গি হয়তো আলাদা কিন্তু অভিপ্রায় এক ৷
No comments:
Post a Comment