Friday, March 4, 2022

কবিতা অস্ত‍্যর্থক চেতনার মন্ত্র

কবিতা অস্ত‍্যর্থক চেতনার মন্ত্র



'মন রে কৃষিকাজ জানো না । এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলতো সোনা'– লোককবির অনুভব থেকে যে বার্তা এসেছে সেটাই সৃষ্টির প্রেরণা । কবিতা বা কাব্য অনুভূতি প্রতিটা মানুষের মননের গর্ভের অভ্যন্তরে নিহিত আছে । যে কোনো ধরনের শিল্প জীবন প্রবাহের মর্মমূলে যুক্ত থাকে তাকে নিরলস চর্চা এবং আয়াশ সাধ্য অভ‍্যাসের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি কে জাগিয়ে তুলতে হয় । এই যে মানবজমিন আবাদের কথা এখানে বলা হচ্ছে তা মূলত মানবমনের গভীরে নিহিত সৃষ্টি পটভূমি । অনন্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যেভাবে জমিকে ফসলের উপযোগী করে তোলা হয় ঠিক তেমনি মানুষের চিত্তভূমিকেও কর্ষণ ও পরিচর্যার মধ্য দিয়ে সৃষ্টিশীল করে তুলতে হয় । জীবন কর্ষণই হলো সৃষ্টির প্রয়াস । একজন সৃষ্টিশীল মানুষকে কর্ষণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জীবন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তার সৃষ্টিকে মূর্তরূপ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হয় । এভাবে  সৃষ্ট শিল্প ও সাহিত্য যখন পাঠকের মনে রস ও আনন্দ সৃষ্টি করে তখনই সেই সৃষ্টি সার্থক হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হয় । শিল্প প্রকাশেরও বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে । কবিতা তেমনি একটা মাধ্যম । একজন শিল্পী তার জীবন অভিজ্ঞতা কে আবহমান পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে শ্রম করে সেই শ্রমের ফসল হলো সাহিত্য । সাহিত্য রূপায়িত হয় অক্ষরের মাধ্যমে । অক্ষর শিল্প সাহিত্যের উপাদান । সাহিত্যের একটা ধারা কবিতা । স্বপ্ন ও কল্পনা, ধ‍্যান ও মননের জগত পরিশীলিত হয় যে প্রক্রিয়ায় তাকে প্রকাশ করার বিশেষ মাধ্যম হলো কবিতা ।

কবিতা বলি আর কথাসাহিত্যই বলি, দুই ক্ষেত্রেই সময়ের চিত্র এবং সেইসঙ্গে ব্যক্তিসত্তার ভেতরে বিভিন্ন পরিবর্তন, অভিজ্ঞতা এবং প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট অথবা ইঙ্গিতে প্রকাশিত হয় । যদিও একই সময় বৃত্তের মধ্যে থেকে দুই সৃষ্টিই হয় তবুও এই দুটি মাধ্যমের নির্মাণশৈলী একেবারেই আলাদা । কথাসাহিত‍্যে সহজ গদ‍্যে শব্দ ব‍্যবহারের মধ‍্য দিয়ে জীবনবর্ণনায় উঠে সে সময় ও মানুষ । এখানে কিছুটা তথ্য থাকে আর কিছুটা কল্পনা । আর কথাসাহিত্যের  ভাষা বহুবিস্তৃত হলেও সর্বজনবোধ‍্য হয়ে থাকে । কিন্তু কিন্তু কবিতার শব্দ ব্যবহার শব্দকে পেরিয়ে তার কথকতা ভাষা ও ইশারা এক গভীর বাচনের সৃষ্টি করে ব্যক্ত ও অব্যক্ত কথামালার ভাবনাবলয় সৃষ্টি হয় কবিতায় । শব্দের ভেতরের নৈঃশব্দ‍্যকে ভাব-ভাষা ও ইশারায় প্রকাশ করেন কবি । তার সৃজনপ্রক্রিয়ায় শব্দের ভেতরে ও বাহিরে যে গভীর অর্থ থাকে, গভীর বোধ থাকে, ব্যক্ত কিংবা অব্যক্ত একটা সম্পর্ক থাকে সেটাকে প্রকাশ করেন কবি । কথাসাহিত‍্যে যেমন বাহ‍্যিক বহুমাতৃক ও বহুবিচিত্র গতি থাকে । কবিতা তেমন নয় । কবিতা তার অন্তর্মন্ডলের পরিসরে স্বনির্মিত পরিসরে চেতনার বিপুলবিশ্বকে উন্মোচিত করেন  । সুধীন্দ্রনাথ বলেছেন রেখার উপর রেখা টেনে পরিশ্রান্ত গদ্য যে ছবি আঁকে গোটাকয়েক বিন্দুর বিন্যাসে কাব্যের জাদু সেই ছবিতে ফুটিয়ে তোলে আমাদের অনুকম্পার পটে । কাব্যের এই  মরমি ব্রতে সিদ্ধি আসে প্রতীক এর সাহায্যে । শব্দ মাত্রেরই দুটো দিক আছে ; একটা তার অর্থের দিক,  অন্যটা তার রসপ্রতিপত্তির দিক । গদ‍্যের সঙ্গে শব্দের সম্পর্ক এই প্রথম দিকটার খাতিরে । গদ‍্যে শব্দগুলো চিন্তার আধার । কিন্তু কাব্য শব্দের শরণ নেয় ওই দ্বিতীয় গুণের লোভে;  কাব্যের শব্দ আবেগবাহী' । কবি এইশব্দ কে সাথে করে নিয়ে কাব্যের মরমী স্মৃতিতে পৌঁছার প্রয়াস নেন কিন্তু তাই বলে শব্দের অনুশাসন সর্বক্ষণ মেনে কবিতাকে নির্ধারিত শাসনে সর্বক্ষণ বেঁধে রাখার অভিলাসী হননা কবি । কবিতার পথে কবির সিদ্ধি আসে অবিরাম শব্দের উপত‍্যকায় নিরবচ্ছিন্ন শব্দের শোভাযাত্রায় ও তার সৃজনপথে রেখার পর রেখা এঁকে এগিয়ে যাওয়ার পদনিক্কনে । এই পর্যায়ে কবিতার স্তরের পর স্তরে চলে ধ্বনিবহুল শব্দের কারুকার্য । দৃশ্যের পর দৃশ্য যুক্ত হয়ে চিত্রময়তার নির্মান হয়, চিত্রের স্পর্শে ধ্বনিময় মাধুর্য সৃষ্টি করে । কবির বয়ান হল নৈশব্দের বয়ান ।

জীবনবীক্ষণেরর পরিশীলিত ফসল কবিতা । জীবনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং তার বহুবর্ণিল বিচ্ছুরণকে গ্রহণ করা যে অপার আনন্দ, সেই আনন্দের মধ্যে গভীর প্রেরণাবোধের মহল নির্মাণ হয় । অনুভবে থেকে যায় আবিষ্কারের উৎসবিন্দু । নবীন প্রেরণা থেকে অপার বিস্ময়ের মনোভূমি জেগে ওঠে অদ্ভুত নান্দনিকতায় । মনোভূমির সৃজনক্ষেত্রে বিশ্লিষ্ট হয় বাগ্ বন্ধ থেকে শব্দ, শব্দ থেকে অক্ষর, অক্ষর থেকে ধ্বনি, শব্দের ধ্বনিতরঙ্গে চিত্রের বর্ণময়তায় বাক‍্যবন্ধ নিবিড় স্পর্শময় হয়ে ওঠে । ধ্বনি থেকে অনুভব । এই অনুভবকে প্রিয়সৃজন হিসেবে  কবির অন্তর গ্রহণ করে । ‌ এই গ্রহণে কবির অন্তরে জাগে অপত‍্যবোধ ।আপন কবিতা লালনের যে তৃপ্তি তা কবি ছাড়া অন‍্যের বোধগম‍্য নয় । কবি তাঁর কবিতায় আশ্চর্যসৌষ্ঠব আনেন । তাঁর কবিতার ভাববস্তু ও আঙ্গিক সংকেতপ্রবণ শব্দে সাজিয়ে তোলেন । তখনই কবিতা হয়ে ওঠে সংকেতের শিল্প  । জীবনগূঢ়তার সূচনাবিন্দু । সেই বিন্দু থেকে চেতনা বলয় প্রতিভাত হতে থাকে । জীবনকে মহৎজীবনে উৎক্রমণের প্রয়াস নিরলস চলতে থাকে কবির কলমে । নতুন নতুন শব্দের সন্নিবেশে নান্দনিক নির্মাণই কবির সাধমন্ডল । নতুন শৈলীতে, নতুন প্রকৌশলে ব‍্যতিক্রমী গ্রন্থনায় কবিতাকে পৌঁছে দিতে হয় পাঠকের প্রাঙ্গনে । নবীন উচ্চারণের মিলিত প্রয়াসে আশ্চর্য নবীন বার্তা পৌঁছে যায় উৎসুক পাঠকের দরবারে ।

কবিকে চিহ্নিত করে কবিতানির্মানে কবির শব্দপ্রীতি ও ব্যঞ্জনা । শব্দকে   কবিতায় ব‍্যবহারের সেই প্রকৌশলে  শব্দচয়নের নতুনত্ব থাকে কিংবা চেনা শব্দকে তিনি নূতনভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেন । পাঠক আপ্লুত হন তাঁর শব্দ ব্যবহারে বা শব্দের ব্যঞ্জনায় । সেই শব্দে সৃষ্ট কবিতায় পাঠক কখনো উৎফুল্ল হন । কখনো বেদনা বোধ বা বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন হন । কখনো তার উত্তরণ ঘটে মৃত্যু চেতনায় । আমাদের পরিপার্শ্বের চেনা অঙ্গনকে অপরূপ রূপে পরিচিত করেন কবি । কবিতার শব্দ চয়নের এবং ব্যঞ্জনায় পাঠকের অন্তরে কবির শব্দবন্ধ স্বপ্ন সৃষ্টি করে । অথবা মায়াবী নদীর তীরে নীল জ্যোৎস্নায় নিয়ে যায় পাঠককে । এক মায়লোকের সন্ধান পান পাঠক ।
 পাঠকও কবিতার মধ্য দিয়ে কবির প্রতি যে একাত্মতার অভিন্নতা অনুভব সৃষ্টি হয়ে যায় সেখানেই কবির জন্য তৈরি হয়ে যায় চিরায়ত স্থান । কবি হৃদয় দিয়ে কবিতার সঙ্গে একাত্ম হন আবার  তাঁর শব্দশৈলীর  মাধ্যমে পাঠকের সঙ্গেও কবিতার সম্পর্ক তৈরি করেন । স্বাভাবিকভাবেই কবিতা এখানে পাঠক এবং কবির মধ্যে নিবিড়  নৈকট‍্য এনে দেয় । হৃদয়সংবেদে পাঠকের বোধের ভূমিতে পৌঁছায় ।

অনেক ক্ষেত্রেই থাকে প্রশ্নমনস্কতা । কবিতার কথায়ও উঠে আসে অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন । কবিতা কি জগৎ ও জীবনের ব্যাখ্যা ? জীবন জিজ্ঞাসা ? নাকি জীবন দর্শন ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে কবিতার অর্থ পাঠকের কাছে নতুন ব্যঞ্জনা নিয়ে উপস্থিত হয় ।

 মানুষের জীবন ও প্রকৃতি একই সুরে বাঁধা থাকে । মানুষ ও প্রকৃতির মধ‍্যে কোনো বিভাজন নেই । তা একই মহাশক্তির দুই রূপ । কবির অন্তরের মানবচেতনা তার কবিতার অক্ষরে বিন‍্যস্ত হয়ে বিশ্ববোধ গড়ে তোলে । এই পৃথিবীর চিরপরিচিত মানবসমাজ, গ্রহ-নক্ষত্র, সূর্য, আকাশ, ছায়াপথ, নীহারিকা, গাছপালা, বৃষ্টি, ঝড়, নদী-প্রান্তর, পাহাড
পর্বত, জলপ্রপাত, চাঁদ, ফুল, জল,পশু-পাখি এমনকি ক্ষুদ্রতম ঘাসের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেন এবং তার মধ্য দিয়েই কবি প্রকৃতির সান্নিধ‍্যে সৌন্দর্য,মাধুর্য,প্রশান্তি ও মুগ্ধতার বোধের অনুভব করেন । জগৎ, জীবন ও প্রকৃতির মিলিত উৎসার ঘটে বিশ্ববোধে । রবীন্দ্রনাথ এই মহাবিশ্বের মহাকালের এই অখন্ড সত্তার মধ‍্যে ডুব দিয়েছেন । কবির প্রধান প্রকরণ হল তাঁর সমৃদ্ধ মানসলোকের পরিক্রমণদক্ষতা । মানসপথ ধরে কবি তাঁর কল্পনার বিস্তার ঘটান । দৃশ্য জগৎ অর্থাৎ ইন্দ্রিয়জগত ,প্রত্যক্ষগোচর জগত এবং বস্তুজগৎকে এক করে দেন কল্পনা শক্তির মাধ্যমে পাঠকের কাছে । এই বিস্তৃতির পথেই আসে কবির সাফল‍্য । প্রাচীন কালিদাস কিংবা জয়দেব  মানসভ্রমণে সাফল‍্যের সূত্র ধরে যুগ যুগ ধরে পাঠকের আকর্ষণবিন্দু হয়ে আছেন । রবীন্দ্রনাথও একেই বলছেন মনোভূমি । 'কবি তব মনোভূমি রামের জনমস্থান অযোধ‍্যা চেয়ে সত‍্য জেনো ' ।

কল্পনালোকের পটভূমিতে মানুষ কবিতার মধ্যেই খুঁজে পেতে চায় বিশ্বাসবোধ,  জীবন এবং জীবনযাপনের রসদ । কবিকেও । কবিতা সৌন্দর্যের প্রতীক, শান্তির উপকরণ হয়ে মানুষকে স্নিগ্ধতা দেয় । আজকের এই মূল্যবোধহীন জীবনযাপনেও কবিতা আবহমান মানবতার রূপে সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবোধকে দূরে সরিয়ে মানুষের অতৃপ্ত অন্তরে শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে ।   কবিতার শরীর বেয়ে মাটির বুকে নেমে আসে । সময়ের প্রবলপ্রবহমানতায় ভ্রাম্যমাণ মানবতা এক যুগ থেকে অপর যুগে অখন্ড ঐক্যে উপনীত হয় । ভেতরের সুপ্ত কল্পনা স্বপ্নের বীজ হয়ে জেগে উঠে কবিতার মধ্যে । কল্পনা নতুনভাবে ব্যবহৃত হয় কবিতায় বাস্তবতার পটভূমি থেকে কতটা দূরে পৌঁছে কল্পনা নিয়ন্ত্রিত হয় তা কবির কারুকার্য এর মধ্যে উপলব্ধি করা যায় । কল্পনাভুবনেরর ভেতরে বেড়ে উঠতে  থাকে জীবনের আবহমান শুদ্ধবোধ । প্রকৃত কল্পনালোকের আলোর রেখা দর্শন পেলে মানুষ নিজের চলার পথকে সহজ করে নিতে পারে ।মানুষ নিজে তার ক্লীবকৈবল্যের প্রাচীর ভেঙে ক্রমশ সময়ের সুনাবিক হয়ে উঠতে পারে । কবি তাঁর কল্পনালোকের শক্তি দিয়ে উত্তরণ ঘটান জীবনের পরম পথে । কল্পনালোকের পথ ধরেই মৃত্যুকে অতিক্রম করে যেতে সক্ষম হন কবি । একথা সত্য যে আজকের যুগ যত অগ্রসর হচ্ছে সমস‍্যাও ততই বাড়ছে । সাথে সাথে এও সত্য যে সমস্যা ও সংকট যত তীব্রতর হচ্ছে, কবিতার স্থায়িত্বও বেড়ে যাচ্ছে ক্রমাগত । যার অন্তর্সূত্রে মানুষের বিশ্বাসও গভীর হচ্ছে কবির কাছে ।  সেই ভাবেই  উচ্চারিত হয় চেতনার অভিমন্ত্র । সে পথেই পাঠকের মননেও শ্রদ্ধায় নিত্য জাগরিত থাকেন কবি । তাঁর সৃষ্টির অচেনা ঝাঁপি অপরূপ আলোতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে । পাঠকের এখানেই কাঙ্ক্ষিত তৃপ্তি ।
জীবনকে উন্মোচন করে কবিতা ।

 জীবনকে দর্শনের পর্যায়ে নিয়ে যায় কবিতা । দর্শনচিন্তা কাব‍্যকে লাবণ‍্যময় করে তোলে । মানবসত্তার স্বরূপকে খোঁজার নিরন্তর প্রয়াস থাকে কবির ।মানবসত্তা দূরধিগম‍্য । অবিরাম সন্ধানপ্রয়াসের পরও তাকে জানা যায়না । ভাসমান হিমশৈলের মতো তার অধিকাংশই রয়ে যায় অজানা । এই দর্শনচিন্তা থেকেও নির্মান হয় কাব‍্যের শরীর । জীবনের যন্ত্রণার বেদনাবোধে ত্রস্ত হয় মানবিক সত্তা । জীবনের দ্বারপ্রান্ত থেকে মৃত্যুর শূন‍্যমন্ডল, হতাশা, নিত‍্য যন্ত্রণা,বিচ্ছিন্নতা, ক্ষয়, আত্মগ্লানি ও ক্লান্তির তিমির থেকে উঠে দৈবী পরিণতির কাছে আত্মসমর্পণ এবং  মানবিকতার পুনরুজ্জীবন মিলিয়ে বেঁচে থাকার পরম আর্তি একটি কবিতার বিষয় হয়ে উঠতে পারে । অনাদিকাল থেকে কবিদের কবিতায় উঠে আসে মৃত‍্যু আর জীবনান্তের বিপরীতে জীবনের উত্তাপ আর বিষাদের মাঝে লুক্কায়িত উজ্জ্বল আলোবিন্দু । স্পন্দমান জীবনকে অনুভব করার নন্দিত সৃজনই কবিতার উপজীব‍্য । কবি চিরকাল তাঁর ধ্বনিময় অলৌকিক স্বরলিপি নির্মানের মাঝে প্রতীক্ষা করে থাকেন ভোরের উজ্জ্বল আলোর জন‍্যে । জীবনের সৌন্দর্যের জন‍্যে । মৃত‍্যুত্তীর্ণ এক  জীবনবোধের জন‍্যে ।

No comments:

Post a Comment