সারিন্দার ধুন
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
যাত্রার আসরে সারিন্দার সুর বেজে উঠলেই,
ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখের প্রথম বউ হয়ে ওঠা
নারীটাও বুঝে যেত এবার বিষাদের দৃশ্য ।
বাজনদারের হাতের ছড়ের ঘায়ে কেঁপে যায় তারযন্ত্র–
নবীন বউয়ের বুকের ভেতর ফেলে আসা প্রেমিকের সংলাপ
সুরের স্রোতে কেঁদে কেঁদে ভেসে যায় ।
কুয়াশা ঘেরা মাঠে হেমন্তের জোছনা ঠেলে
বেরিয়ে যায় রাসমঞ্চের দিকে ।গোপিদের ঘোমটার ছায়া বিষন্নতা মাখে শেষরাতে
বউটা নিজেও একেকজন রাসরমণীর মতো
পাক খায় স্মৃতি প্রেমিকের চারধারে ।
নিজে কান্নার সুর তুলে রাতের মৌনতা বিপন্ন করলেও
সারিন্দা জানেনা সে কাকে কাঁদিয়ে যায় ।
বউটা একাকী উঠে যায় আসর ছেড়ে
সামনেই তার আলোকিত চিকচিকে নীল যমুনার জল ।
No comments:
Post a Comment