উইকএন্ড কার্ফ্যু
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
টারবাইন জীবনেও মাঝে মাঝে বিরতি দিতে হয়
পাহাড়ে মেঘের রাজত্বে রোজকার বন্দীত্ব ছুঁড়ে ফেলে
উদার এবং উদাস হতে মন চায়
মেঘেরা কতো সরল সাদা আর দূরগামী জাহাজ
পাহাড়ের ছাদে ছাদে তাদের যৌথ ভ্রমণ
সপ্তাহে দুটো দিনই তো কেবল মুক্তির ট্রেন
বেহায়া উইকএন্ড কার্ফ্যু গিলে খায় সব উল্লাস
নিঃশব্দে রাতের পর রাত পেরোতে হয়
অপর কোনো বিরতির হাটবারের আশায় ।
বর্ষা
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
বর্ষার জল পড়ে জেগে ওঠে গাছপালা,
পাখিদের স্নান, সাপের শঙ্খলাগা,
পাতারা রান্নাবান্নায় মগ্ন সবুজ ক্লোরোফিলে ।
খেতের লাঙলের ফলায় জেগে ওঠে জানকীর মুখ
জান কবুল করে বৃষ্টিতে ভেজে চাষি
ভাতশিল্প রচনার কৌশলে মেলে ধরে মাটির ইজেল
কৃষাণবউয়ের ফেসবুকে অংকুরের আভা
ফসলের আশায় নেভায় রাতশয্যার কুপিবাতি ।
লকডাউন
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
সব মিরাক্কেল রসিকতার নয় । মঞ্চের হাসাহাসি
মাটিতে নামলেই জন্ম নেয় একাকীত্বের ।
মানুষ এখন ভীষণ সাহসী পুলিশের তোয়াক্কা করেনা ।
প্রশাসকও ক্রমাগত কড়া লকডাউন লাগিয়ে যায় ।
ডিউটিসফল পুলিশ । চৌমাথায় দাঁড়িয়ে
মোবাইলে পাবজি খেলে কিংবা অন্য থানায়
বদলি হয়ে যাওয়া তরুণী সতীর্থের সঙ্গে
ভিডিও চ্যাটিংএ গভীর মনযোগী ।
মানুষ মরে আর প্রশাসন হাসে
ভেবোনা, সামনে আরো কঠোর কার্ফ্যু আছে ।
জার্নি
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
ভালোবাসি বলেই অপেক্ষায় থাকি
অন্ধকারেও দেখি ওই ডালিমমুখের বিশ্বাস
ভালোবাসা হারায়না ।
বাক্যহীন বেড়ে যায় প্রতিটি সুগন্ধী সন্ধ্যায়
মৃগনাভির সম্পদ নিয়ে এগোতে থাকে ।
বেলাশেষে যে করুণ আলো দিগন্তে ছড়ায়
তাকে নিয়ে গবেষণা করলে পাই বিদায়ের তর্জমা
অপরপথের পথিক কবিতা দুরপথে সরে যায়
তার কাছে পৌঁছুতে গেলে চাই মায়াশব্দের ছু-মন্তর
অবেলায়ও তোমার শুভনাম নিয়ে আমাদের যৌথজার্নি ।
No comments:
Post a Comment