বর্ণমালার জোছনা
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
এক.
মাঝরাতে গাঁয়ের গভীরে কীর্তনের আওয়াজ ভেসে উঠলে শিথিল শরীরে শিহরণ ওঠে । সমস্ত লৌকিক যন্ত্র জড়ো হয় এক উঠোনে । তাদের শরীর কথা কয় সুরেলা ভাষায় । সেখানেও তোমার মকরন্দ ঘ্রাণ । এক একটা ধ্বনি এক একটা ভাষার নিক্কন । সে ভাষা ক্লান্ত গ্রামরমণীর । ও বর্ণমালা ! সে ভাষা পরিশ্রমী প্লাবনকথা । তোমার নিত্যদিনের দারিদ্র্যপাঁচালি । সৃজনরক্তের আদ্যঘ্রাণ সে ভাষায় বেঁচে ওঠে । বৃষ্টিমাখা হলুদ নদী যুবতী হয় । তার উথলানো ভাষায় বেঁচে ওঠে নারী ও নৌকো । জোছনার ডিঙায় শরীর বিছিয়ে দিয়ে নদীও মানুষী । তার তরল শরীরের নগ্নতায় চলমান জীবনের ফর্দ খুলে যায় । অন্তরের সঞ্চয়মধু কলরব করে ওঠে । আহা ! এক একটা বর্ণ । রৌদ্রের লালনগন্ধে বাতাসের গহনা তার গায় । ওরা মাতে ওঠে হজাগিরি দোদুলে । লোকায়ত নাচের মুদ্রায় চন্দ্রকোটর থেকে দৈবউঁকি দেয় কবিতাকরোটি । চলমান পানশালা মুখর ও মুখরা
No comments:
Post a Comment