ত্রিপুরা রাজ্যে প্রধান দুটি ভাষা প্রচলিত । বাংলা ও ককবরক । রাজ্যের বৃহদংশের জনগোষ্ঠীর মুখের ভাষা এটি । কিন্তু এই দুই ভাষায় উচ্চশিক্ষা গ্লহণের সুযোগটি ক্ষীণ । রাজ্যের একটি উচ্মচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম বি বি বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই শিক্ষাপ্রসারের চেয়ে পেটোয়া বিদ্যাজীবীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল । যার ফলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সযোগ না থাকার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত এখানে অস্বাভাবিক নয় । শিক্ষাবিস্তার নয় । কিছু বশংবদ বিদ্যাব্রতীই এখানকার আসল নির্মান । এখানে কেন্দ্রীয় স্তরে একটি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে । সেখানেও বাংলা ব্রাত্য । মানোপযোগী না হওয়ার ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলা স্নাতকোত্তর পড়ার ক্ষীণ সুযোগটিও আজ বন্ধ । যার ফলে, প্রতি বছর ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাভাষা ও সাহিত্য পড়ার জন্যে প্রচন্ড ভিড় হয় । ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাবিভাগের সুনামও দেশবিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে । ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাভাষা ও সাহিত্যে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্যে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ও দেশের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিড় করে থাকেন । ফলে সবাই সুযোগ পান না । যাঁদের মধ্যে রাজ্যের উচ্চশিক্ষার্থীরাও প্রচুর রয়েছেন । সুযোগবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা যদি প্রাগুক্ত দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেতেন তবে তাঁরাও রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করার সুযোগ পেতেন ।
No comments:
Post a Comment