এক
সমস্ত আশঙ্কাকে দূরে ঠেলিয়া ফেলিয়া মহাবিশ্বের জেনারেল সূর্যদেব রুদ্র-র নেতৃত্বে মানবসন্তানবাহিনী ঊষাযাত্রা করিয়া মহাপ্রস্থানের পথে ফেনবতী নদী অতিক্রম করিতেছেন ৷ অধিকাংশজন দেবী ত্রিপুরাসুন্দরীর পীঠভূমি দর্শনকামনায় শকটসন্ধানে মনোনিবিষ্ট ৷
#############################
দুই
আগামীকল্য গোলোকস্থ বাণিজ্যদপ্তরের প্রধানা অধিশ্বরী শ্রীমতী লক্ষ্মীদেবী কমলা তাঁর ধনভান্ডারের সুবর্ণকলস লইয়া সিন্ধুজল ( মর্ত্যের ফেনবতী নদী) হইতে উত্থিত হইবার দিনক্ষণ পূর্বাহ্নেই পঞ্জীকৃত হইয়া আছে ৷ এতোদ্দেশে দেবীর অনুগত ও টঙ্কাপ্রসাদার্থী বণিকগণ পূর্বাহ্নেই নদীতীরবর্তী ভূতপূর্ব চরভূমিতে সাতিশয় আগ্রহে শিবির স্থাপন করিয়া বিগত তৃতীয় দিবসাধিক কাল যাবত তথায় অবস্থান করিতেছেন ৷ অপরদিকে ফেনবতী নদীর দুই তীরবর্তী জনপদের শ্রীশ্রী ব্রহ্মানন্দ গিরি মহারাজের আশীর্বাদধন্য মনুর সন্তানবর্গ এতদিন যে ' ওই পারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস ' এইরূপ বিলাপ করিয়া আক্ষেপ করিতেছিলেন তাহা প্রশমনের সুবর্ণ সুযোগ প্রাপ্তির আশায় পরস্পর বিপরীত তীরবর্তী জনপদে পদার্পন করিয়া চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন করিবার প্রস্তুতি গ্রহণ করিতেছেন ৷এবম্বিধ বার্তা গত সায়াহ্ণে দেবরাজ ইন্দ্রের দপ্তরে পৌঁছাইবামাত্র ইন্দ্রপ্রস্থে সাজ সাজ রব পড়িয়া গিয়াছে ৷ মহারাজ ইন্দ্রদেবের নির্দেশ ইতিমধ্যে অস্ত্রাগার হইতে কয়েক শকট বজ্র নামক মিসাইল রওনা হইয়া গিয়াছে ৷ স্বর্গভূমির জলসম্পদ দপ্তরের প্রধানাধিপতি বরুণদেবকে তলব করিয়া প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়াছেন ইন্দ্রদেব ৷ স্বর্গের গোলোকধাম ও নন্দনকাননকে সমুহ আক্রমন হইতে রক্ষা করার লক্ষে বিদ্যুৎসকলকে ইতিমধ্যে মর্ত্যলোকের কাজকর্ম গুটাইয়া তথায় ব্যুহরচনার কাজে নিয়োজিত করা হইয়াছে ৷ সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গিয়াছে ফেনবতী নদীর উজানে ও উত্তরাংশে বজ্র নিক্ষেপসহিত আগামীদিবসে তাঁহার পার্বন হইলেও রাজাদেশ শিরোধার্য মনে করিয়া বরুণদেব নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁহার কর্মতৎপরতা শুরু করিয়া দিয়াছেন ৷ ফলে আগামী দিবসে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ যারপর নাই ক্ষতির সম্মুখীন হইবেন বলিয়া আশঙ্কা করিতেছেন ৷
No comments:
Post a Comment