জীবনবাউলের কাছে লেখা চিঠি কী লোকসানের জাবেদাদলিল? দেহতত্ত্বের পদাবলি? শুধু কী উল্লাসলিপি! মরমিয়া হে, বেদনার শীতলপাটি বিছিয়ে বিলোতে চাও শীতাতপ নিরাময় ৷ গোপন গদ্য ৷ শব্দের ফুলঝুরি এখনো ডুয়ার্সের হাওয়ায় ইকোপ্রবণ ৷ তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার মাতলামোর মাঝে অস্তরাঙা বন অদৃশ্য হয়ে আসার আগে আমার প্রলাপলিপির পাতা উড়িয়ে দিয়ে গেছ মহাবোধির দরদে ৷ 'অদ্বয় বঙালে ক্লেশ লুড়িএই' হে নিঠুর! গোপন সংকেতে তোমার নেমে এসেছে সব বনবাসী শ্যামাদল ৷ আমার হৃদয়ে যে ভাষা ছিল ওরাও গান গেয়েছে সেই কামতাপুরি কামনায় ৷ জলপ্রপাত থেকে অবিরাম গড়িয়ে পড়া রমণকথার শীৎকার প্রাচীন পদ্য পাথরে পাথরে বিক্ষত ৷ কষ্টের কোনো ইতিহাস নেই ৷ কোনো জাদুঘর হয় না ৷ কেবল বুকের ভেতর বয়ে নিতে হয় লাখো লাখো যুগ ৷ স্মৃতিময়ী শ্রীমতী যেমন কাঁদেন আবহমান সন্ধ্যার আঁধার জুড়ে ৷ অস্থাবর চিতা থেকে সমিধের আগুন ৷
আরো কিছু আরণ্যক কলার টিউনিঙের জন্যে জীবনজামার কলার টেনে রাখব ৷ যতো ছোটো হোক ৷ যতোই ছোটো হোক ৷ ভালো থেকো তুমি ৷
No comments:
Post a Comment