জীবনে বেঁচে থাকা, জীবন নিয়ে তুমুল হুটোপুটি করা, অভিযানমুখর করে তোলা,আনন্দে কোলাহলচঞ্চল হওয়া,বেদনায় ঝড়ে চুপসে যাওয়া পাখির বুকের মধ্যে অঙ্কুরিত আশার মতো জেগে ওঠার শুভঙ্কর প্রেরণা, নির্মম লাঞ্ছনায় তীব্র বিদ্রোহ করার দার্ঢ্য আর আবেগে গোপন কুঠুরির প্রিয়জনের কবোষ্ণ নৈকট্যের মতো আশ্রয়কানাৎ হলো কবিতা ৷ তান্ত্রিক অভিচারক্রিয়ায় একটা প্রক্রিয়া আছে যা সমস্ত কু থেকে যোগীর শরীরকে রক্ষা করে ৷ তাকে আভিচারিক ভাষায় গা-বন্ধ বলে ৷ কবিতা এমনই শরীরবন্ধের মাদুলি ৷ কবিতার সঙ্গে যার যাপন কিংবা যোগমিলন তার আত্মার মধ্যে এক বিশাল অন্তঃসলিলা শক্তি বিরাজ করে ৷ এই সুপ্ত শক্তিই কারো কারো জীবনের ওম ৷ কবি তো কবিতার শরীরনিসৃত সেই অমোঘওমে লালিত ৷ কবির ভাবনমন্ডল তাই কবিতাময়, যোগনাদমুখর হয়ে ওঠে ৷সৃজনকাতরতা কবিকে সৃষ্টির দিকে যাত্রার বাঁশিসংকেত করে ৷ কবির অনির্দেশযাত্রার সঙ্গী কবিতানাম্নী অলৌকিক সই ৷ যে কবির সঙ্গে হরপল লীলামুখরা ৷ কবি পায় কবিতায় অবগাহনসুখ ৷
Tuesday, October 24, 2017
যোগমায়ায় কবিতার কোলাহল
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment