Thursday, January 30, 2020

সা জ

তোমাকে সাজাবো বলেই সমস্ত উপকরণ সাজিয়ে বসি
গুছিয়ে রাখি হাতের কাজ

তুমি এলেই আমার অভিযাত্রা 
সফল রাস্তা খুঁজে পায়

Saturday, January 18, 2020

গী ত গো বি ন্দ ম


বাইরের সংকেত জানানোর জন্যে দরোজায় রাখা কলিং বেল নিয়ম মেনেই কথা বলে যায় ৷ সারারাত ঘাসের ডগায় অপেক্ষা করে শিশির ভোরের সূর্যমুখের আশায় ৷ লাল আভায় নিজেকেও রাঙিয়ে নেওয়ার সুখস্নান ৷ নিকটকথা দিয়ে মুড়ে দেওয়া মনমতো জানালা পর্দাআঁটা সহবৎ শিখে নেয় ৷ অনবরত ডোরবেল বেজে গেলেও যদি দরোজার ওপার থেকে সাড়া না আসে তবে নিবেদনের জন্যে পদাবলি জেগে থাকবে কী সদরঘাটে?  রাধার নামে বাধারঘাটে যখন হুইসিল বাজিয়ে ছেড়ে যায় রাজধানীর ট্রেন আনন্দবিহারের উদ্দেশ্যে ৷ বিরহের মীড় যেখানে প্রবল গেঁথে যায় ধুলিজমিন ছুঁয়ে, ভেজা বালিতে কী লেখা যাবে পদপল্লবমের গোপন বাসনার কথা ৷ তাহলে তো আর একটা গীতগোবিন্দের জন্যে তুলট কাগজ কেঁদে যাবে ৷ তোমার তাতে কী সায় আছে রাই, সই?

Thursday, January 16, 2020

ব য় ন



গভীর রাতলিপি নিবিড় পাঠের পর
দরোজায় ঘন্টি বেজে যায় বিরতিবিহীন
রাতচরা সরীসৃপের অবোধ্য সংকেতের মাঝে
একটা সুতোবাঁধা  নির্দেশ গোপনে ছড়িয়ে যায় 
ঘুমকাতর জনপদ ও জঞ্জালের অচেতন অবয়বে

আগামী রুটিন ঘুরে ফিরে আশা করে ভাবী বয়ন

Tuesday, January 14, 2020

মা ঘ


কুমারী উষ্ণতা এগিয়ে যায় যৌবনস্তরে
মাঘ এসেছে ভোরের দরোজায় নক করে করে
 খুল্লনার বারোটি মাসের তীব্রতম সময়
প্রবল গরিবানা পারে নি হারাতে ভালোবাসা 

আজো শেষ রাতে কাঁথায় বোনা নকসি সুতোতে
দৈবওম ছড়ায় অকৃপণ উদার ভোরাই গানে 
তুমি এখনো ইমেল করো মেসেজ পাঠাও 
তাই আমার দিনকথা ভরে ওঠে নিত্য দীনকাঁথায়

Sunday, January 12, 2020

ত্রিপুরা রাজ্যে হাতির প্রাচুর্য

ত্রিপুরা রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চল একসময় হাতির জন্য বিখ্যাত ছিল ৷ পার্শ্ববর্তী পার্বত্য চট্টগ্রামেও ছিল হাতির প্রাচুর্য ৷ এই অঞ্চলে ছিল 'হাতির দোয়াল' অর্থাৎ হাতির বাসস্থল ৷ ত্রিপুরা রাজ্যে এমন বেশ কয়েকটি হাতির দোয়াল ছিল ৷ আগরতলা শহরের বড়দোয়ালি একসময় ছিল হাতির বড়সড়ো বিচরণক্ষেত্র ৷ হাতি ধরার জন্যে  বিশাল এলাকা নিয়ে তৈরি করা হত ফাঁদ ৷ হাতির প্রিয় খাদ্য কলাগাছের বাগানে ঘেরা থাকত এই ফাঁদ ৷ বাগানের মাঝে থাকত গভীর পরিখা ৷ যা নরম গাছ লতাপাতা দিয়ে ঢাকা থাকত ৷ কলাগাছের লোভে এসে বুনো হাতির দল এই গভীর পরিখায় পড়ে যেত ৷ তারপর পোষা হাতি দিয়ে এদের ধরা হত ৷ এই ফাঁদকে বলা হত খেদা ৷ এখানে ছিল প্রচুর 'খেদা' ৷ প্রাচীন পূর্ববঙ্গ গীতিকায় 'হাতি খেদার গান' নামে পালাগানে এই অঞ্চলের বর্ণনা আছে ৷ হাতি নিয়ে কিংবদন্তী, লোককাহিনিও রয়েছে ৷  ককবরক লোককথায় নিষেধ না মেনে যাদুপুকুরে  স্নান করায় শরীর ফুলে গিয়ে 'ভাইবোন হাতি হয়ে যাবার গল্প' রয়েছে ৷ লংতরাই পাহাড়ে খোঁড়া হাতি বিচরণের কিংবদন্তী রয়েছে ৷ ত্রিপুরা-চট্টগ্রামের পাহাড়ে যে শ্বেত হস্তী ছিল তারও প্রমান পাওয়া যায় প্রাচীন কাব্যগ্রন্থে ৷ কৃষ্ণমালায় আছে— 'ডাঙ্গর ফা রাজার কালে থানাংচিতে থানা ৷/ থানাংচি না মিলিলেক রাজাতে আপনা ৷৷/ থানাংচিতে এক হস্তি ধবল আছিল ৷/ হেড়ম্ব রাজায় তাকে চাহিয়া পাঠাইল ৷' সেই শ্বেত হস্তি তো আজ লুপ্ত হয়ে গেছেই ৷ যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই হাতিও অচিরেই নিঃশেষ হয়ে যাবে ৷

জন্মদিনে কী আর আমি.......



' কিবা বার্তা কি আশ্চর্য পথ বলি কারে
কোন্ জন সুখী হয় এই চরাচরে' ৷
মহাভারতের একটি কাহিনিতে আছে বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে কটি প্রশ্ন করেছিলেন ৷ বার্তা কী,  আশ্চর্য কী, পথ কাকে বলে আর এ সংসারে কে সুখী?  যুধিষ্ঠির সব কটি হেঁয়ালিমূলক প্রশ্নের দুর্দান্ত দার্শনিক উত্তর দিয়েছিলেন ৷  কী আশ্চর্য বলতে যুধিষ্ঠিরের জবাব ছিল-প্রতিদিন প্রতিনিয়ত এত প্রাণীকুল মারা যাচ্ছে এবং এটাই হল নিয়তি, চিরন্তন পরিণতি ৷ মানুষ সর্বক্ষণ এই চিরন্তন ধারাকে দেখে আসছে ৷ তথাপি মানুষ বেঁচে থাকার জন্যে কী আকুল ৷ এটাই হল আশ্চর্য ৷
     আমাদের এক একটা জন্মদিন আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় ইতিদিনের দিকে ৷ আমরাও জানি তার পরিণতি ৷ পরিণতও হই আমরা ৷ আমরা জন্মদিনকে পালন করি ঘটা করে ৷ শুভেচ্ছা,ভালোবাসা, আশীর্বাদে ভরে যায় জন্মদিনের পরিমন্ডল  দীর্ঘায়ুর  চিরপথ ৷ আমরা চাই প্রতিটি মানুষ চিরজীবিত হোক ৷ নির্মল আমাদের বাসনা ৷ 'মলিন মর্ম মুছায়ে' ৷ এক আন্তরিক রেওয়াজ আমাদের জীবন ঘিরে ৷ একের জন্মদিনে আসে অজস্র শুভকামনা ৷ প্রিয়জনের জন্মদিনেও প্রতিবিম্বিত হয় সেই শুভায়ুর বাসনাসুষমা ৷ 
        বর্ষপঞ্জীনির্ধারিত ক্ষণ অনুযায়ী আজ আমার জন্মদিন ৷ সারাদিনব্যাপী অজস্র ফোন, মুখোমুখি শুভেচ্ছা, সামাজিক মাধ্যমে শুভতোষ বার্তার বন্যা বয়ে গেছে ৷ আমি ভেসে গেছি সেই বানে ৷ আরও আরও বহুকাল বেঁচে থাকার, আরও আরও বেশি করে জীবনকে ছুঁয়েছেনে দেখার সুতীব্র কাঙ্ক্ষা জাগছে ৷ চিরসুন্দর জীবন কতো সুন্দর ৷ 
       তবে আনুষ্ঠানিক জন্মদিন পালন আমার কোনোদিন হয়নি ৷ আমার সন্তানদেরও জন্মদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করিনি কোনদিন ৷ কিন্তু আমার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এক অভিনব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলাম আমি আজ সন্ধ্যায় ৷ আজ সকালের ট্রেনে রওনা হয়ে কুমারঘাট হয়ে সন্ধ্যায় এসে পৌঁছেছি কাঞ্চনপুর 'অণুভাবনায় সাহিত্য উৎসব' এ যোগ দিতে ৷ বনতটের সম্পাদক হারাধন বৈরাগি,রসমালাইর অমলকান্তি চন্দ এবং দোপাতার দিব্যেন্দু নাগের যৌথ উদ্যোগে আগামীকাল কাঞ্চনপুর ডাকবাংলোর কনফারেন্স হলে আয়োজন করা হয়েছে সেই অনুষ্ঠানের ৷   সন্ধ্যায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের একঝাঁক গুণী লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও গল্পকারদের মধ্যে দেবব্রত দেবরায়, সস্ত্রীক শ্যামলবৈদ্য ও পার্থ ঘোষ, বিমল চক্রবর্তী, অপাংশু দেবনাথ,  জহর দেবনাথ, নিশীথরঞ্জন পাল, অভিককুমার দে, জয় দেবনাথ, বিজন বসু, সাচিরাম মানিক, চন্দনকুমার পাল, বাংলাদেশ থেকে আগত জাকির আহমদ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত সন্দীপ সাহু ও সুশান্ত নন্দীসহ আরো বেশ কয়েকজন সৃজনকর্মী এই কনফারেন্স হলে রীতিমতো কেক কেটেই পালন করলেন আমার জন্মদিন ৷ এই সন্ধ্যায় যেন আমাদের অতীতের বঙ্গভূমির প্রতিনিধিরাই আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন আন্তরিক আলিঙ্গনে ৷ আজকের অজস্র আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা, শুভকামনায় আমি আপ্লুত,  আমি অভিভূত ৷ আমি সিক্ত হলাম ৷ আমি স্নাত হলাম এক স্বর্গীয় অবগাহনে ৷ সবাইকে আমার অন্তরের গভীর শুভকামনা জানাই ৷ আপনাদের / তোমাদের শুভবার্তাকে কুর্নিশ করি ৷ আমিও চাই সবাই ভালো থাকুন ৷ সুখে থাকুন ৷ শান্তিতে থাকুন ৷ প্রত্যেকের জন্মদিন আরো আরো জন্মদিন বয়ে আনুক প্রত্যেকের জীবনে ৷ ইচ্ছে হয় জীবনকে ডেকে বলি, হে জীবন, আমাদের জন্যে আরও কিছু সময় বরাদ্দ করো ৷ আরো কিছু মহার্ঘ মুহূর্ত দাও আমাদের সবার জন্যে ৷ হে জীবন! জীবন হে!

সং ক্রা ন্তি

 হাত কী মোহনীয় হয়ে উঠবে এই সংক্রান্তির সন্ধ্যায়
নিকোনো উঠোন আলপনায় রাঙানো হয়ে গেলে ক্লান্ত হাত
পড়শির পরশ চাইবে নিভৃতে অন্তত প্রশংসামুখর দুচোখ
যেমন মাহেন্দ্রসূর্য কুসুমশোভন হাসিতে স্বচ্ছ উঠোনে বুলোবে চোখ

পিটুলিগোলার রঙ ভেসে উঠতেই
তোমাকেও মনে হয় সেজে উঠেছ
মাঘসকালের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে
বুড়ির ঘরের সামনে যেন আগুন উত্তাপের একমাত্র পরিষেবাপুষ্ট
রক্তিম আঁচের আভায় একমাত্র তুমি যেন সুন্দরী হয়ে ওঠো কুয়াশাভোরে 

পৌষের শেষ সকাল এভাবেই প্রাতঃভ্রমণ সারে তোমাকে নিয়ে ৷

Thursday, January 2, 2020

শব্দব্যবহার

কীর্তন থেকে কেত্তন কিভাবে হল সেটা উল্লেখ করছি—     কীর্তন(তৎসম)>কেত্তন(অর্ধতৎসম), কী>কে,(স্বরসঙ্গতি), র্ত>ত্ত(বর্ণদ্বিত্ব) ৷