Wednesday, May 13, 2020

ত্রিপুরার বাংলা কবিতার হাজার বছর

ত্রিপুরার বাংলা কবিতার ইতিহাস সংক্রান্ত এ পর্যন্ত যে সমস্ত মান্য কাজ হয়েছে সেগুলোতে প্রাচীনতার ক্ষেত্রে রাজমালাকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে ৷ আমাদের কবিতার ইতিহাস যে হাজার বছর অতিক্রান্ত সেই বিষয়ে আমার একটা দুর্বল প্রবন্ধ আছে ৷ রাজ্যের বিশিষ্ট কবি দিলীপ দাসের অনুরোধে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার 'বঙ্গ-সংস্কৃতি উৎসব ১৪২২র স্মারকগ্রন্থেরজন্য প্রবন্ধটি লিখেছিলাম ৷ "ত্রিপুরার বাংলা কাব্যের হাজার বছর" শিরোনামে সেটি ওই গ্রন্থে প্রকাশিতও হয়েছিল ৷ প্রবন্ধটি সেদেশে প্রশংসিত হয়েছিল ৷ আমাদের রাজ্যেও কবি দীলিপ দাসসহ অনেকেই পড়েছেন ৷ মুখে প্রশংসাও করেছেন ৷ পরবর্তীতে সেটি বর্ধিত আকারে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত কবি মধুমঙ্গল বিশ্বাসের দৌড় সাহিত্য পত্রিকার ৩৩ বর্ষ • জানুয়ারি ২০১৭ এর বিশেষ ক্রোড়পত্র  : ত্রিপুরা সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ৷ সেখানেও পাঠক ও গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রবন্ধটি ৷ একজন তো তাঁর ত্রিপুরার সাহিত্যবিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থে এক জায়গায় ছোট্ট দুটো ঊর্ধ্ব কমার মধ্যে রেখে আমার পুরো প্রবন্ধটাই ঢুকিয়ে দিয়েছেন ৷ আজকের দিনেও ত্রিপুরার কবিতার আলোচনার সময় কথাটা  ক্ষীণভাবে কেউ কেউ তোলেন ৷ কিন্তু কে প্রথম বিষয়টা তুলেছেন সেটা ভাসুরের নামের মতো ট্যাবুতে অনুচ্চারিত রয়ে গেছে ৷ আমার তোলা প্রসঙ্গটা ভুল হলে আলোচনা সমালোচনা করা হোকনা ৷ আমি সমৃদ্ধ হই ৷ এই প্রবন্ধ প্রকাশের পরে ত্রিপুরার বাংলাকবিতা বিষয়ে অত্যন্ত সুন্দর ও পরিশ্রমী একটি বিশাল গবেষণা অভিসন্দর্ভও প্রকাশিত হয়েছে ৷ বহু খোঁজখবর করে দুষ্প্রাপ্য তথ্যউপাত্ত সংযোজিত হলেও অধীনের লেখাটা আলোচনায় আসেনি ৷ এই সমস্ত দুঃখজনক কারণে আমার আর পরিশ্রম করে কিছু সৃষ্টি করতে ইচ্ছে হয়না ৷  সমালোচনা এরাজ্যে দূর অস্ত ৷ নস্যাৎও করেননা ৷ স্রেফ এড়িয়ে যান ৷ অথবা নকল করে নিজের মহল্লায় বাহাদুরি নেন ৷ আমি যাঁর সৃষ্টির নিবিড় আলোচনা করলাম তাঁকে আমার কোনো গ্রন্থের আলোচনা করতে বললে হেসেই উড়িয়ে দেন ৷ ভাবি কী ছাই পাঁশ লিখেছি এতদিন ৷

No comments:

Post a Comment